নতুন বই
নাসিম সাহনিকের নতুন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী

এবারের অমর একুশে বইমেলায় আসছে লেখক ও নির্মাতা নাসিম সাহনিকের নতুন দুটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীভিত্তিক উপন্যাস। এর একটি হচ্ছে ‘মিশন ইমোশন’, অন্যটি ‘ল্যাঙ্গুয়েজ হান্টার’। ‘মিশন ইমোশন’ প্রকাশ করছে অনিন্দ্য প্রকাশ (স্টল নম্বর ২৯৩-২৯৬) আর ‘ল্যাঙ্গুয়েজ হান্টার’ প্রকাশ করছে তাম্রলিপি (প্যাভিলিয়ন ২)। তরুণ প্রজন্মের সায়েন্স ফিকশন লেখকদের মধ্যে নাসিম সাহনিক তাঁর ভিন্নধর্মী বিষয়বস্তু নিয়ে লেখার কারণে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
‘মিশন ইমোশন’-এর পটভূমি রচিত হয়েছে ঢাকায় অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমোশন সেন্টারকে কেন্দ্র করে। এই ইমোশন সেন্টারের গুরুত্বপূর্ণ গবেষকরা যখন অপহরণ হতে থাকেন, তখন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি অপারেশন পরিচালনা করা হয়। এই অপারেশনে এলিয়েন, রোবট, মিউট্যান্টরাও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ে।
ল্যাঙ্গুয়েজ হান্টারের কাহিনীতে দেখা যায়, একটি এলিয়েন প্রজাতি দূর নক্ষত্রের গ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসে অবস্থান নিয়েছে। সমুদ্রের তলদেশে তারা অদ্ভুত মহাকাশযানে করে চলাফেরা করে। ওদের একটি অন্যতম কাজ হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে অপহরণ করা। তারা ভাষা শিকারি হয়েছে বিশেষ একটি উদ্দেশ্য সামনে রেখে। কী তাদের উদ্দেশ্য? পৃথিবীর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কী? এ রকম নানা প্রশ্ন আর সাসপেন্স নিয়ে এগিয়ে গেছে এই উপন্যাসের কাহিনী।
নাসিম সাহনিক মূলত বিজ্ঞান ও সাহিত্যের মেলবন্ধনের পথিক। বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রকৃতি, প্রাণ, মহাবিশ্ব প্রভৃতি অধ্যয়ন করে থাকেন। সাহিত্যের মাধ্যমে মানুষ, জীবন, সংস্কৃতি প্রভৃতি বোঝার চেষ্টা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বেশ কিছু পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অনলাইন পত্রিকা সায়েন্সটেক, বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনীবিষয়ক পত্রিকা ক্রোমোজোম প্রভৃতি। লেখালেখির পাশাপাশি নির্মাণের মতো সৃজনশীল কাজেও নিজেকে জড়িত করেছেন এই লেখক। পরিচালনা করেছেন প্রায় ২৫টি একক নাটক । ‘ইয়ুথ ইন লাভ’ ও ‘জীবনের রং’ নামে দুটি ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করেছেন। সম্প্রতি তিনি একটি টেলিমুভি ও একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছেন।
নতুন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী প্রকাশ নিয়ে নাসিম সাহনিক বলেন, “লেখালেখি আমার খুবই প্রিয় একটি বিষয়। সম্প্রতি আমার মুভির জন্য ছয়টি গান লিখলাম। বেশ ভালো লেগেছে গানগুলোর সংগীত আয়োজনের সময়। গান, নাটক, চলচ্চিত্র থেকে আগামী দুই সপ্তাহ বিশ্রাম নেব। এই সময়টাতে আমার পুরো মনোযোগ থাকবে বইমেলায়। বইমেলায় নতুন বই প্রকাশ হলে আমার অদ্ভুত ভালো লাগে। আমার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখার সময় অনেক আনন্দ হয়। নিজের কাছে মনে হয়, ভিন্ন এক জগতে ভিন্ন এক সময়ে যেন আমি ভ্রমণ করতে থাকি। আমি যেন একজন ট্রাভেলার হয়ে যাই। আমার ইমোশন নিয়ে পড়াশোনার ফলাফল হচ্ছে ‘মিশন ইমোশন’ আর ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে পড়াশোনার ফলাফল হচ্ছে ‘ল্যাঙ্গুয়েজ হান্টার’।”
বইমেলায় নাসিম সাহনিকের আগে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীগুলো হলো : কক্সবাজারের কচ্ছপ (রাত্রি), সুন্দরবনে ত্রুটি (ছায়াবীথি), মহাকাশে মহাযান (শুভ্র), রোবোসাইকোলজিস্ট (অন্বেষা), জেনেটিক কোড (রোদেলা) প্রভৃতি।