আলোচিত তিন নারীর প্রেমপত্র

প্রেমপত্র হলো প্রিয়জনের কাছে ভালোবাসা প্রকাশের একটি মাধ্যম। হাতে বা অন্য কোনো মাধ্যমে, প্রেমপত্রে মনের অনুভূতি ব্যক্ত হয়ে থাকে। আর এর মাধ্যমে প্রেম কখনো জাগরিত হয় আবার কখনো অব্যক্ত থেকে যায় । আর সেই রকম আলোচিত তিন নারীর প্রেমপত্র নিয়ে আমাদের আয়োজন ।
মেরিলিন মনরো (জো ডিম্যাজিওকে)
আমি তোমার কতটা অভাব বোধ করছি, তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। হৃদয় ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া অব্দি তোমায় আমি ভালোবেসে যাব। আমার সব ভালোবাসা, সব চাওয়া, সব চাহিদা তুমি- চিরকালের জন্য। আমি শুধু চাই তুমি যেখানে থাকবে সেখানে থাকতে এবং তুমি আমাকে যেভাবে চাও সেই রকম হতে। আমি জানি মাঝেমধ্যে আমি দেরি করে ফেলি। আমি প্রতিজ্ঞা করছি আমি মিলিয়ন গুণ বেশিবার চেষ্টা করব শোধরাতে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি। ভালোবাসা নিও। তোমার মেরিলিন। (১৯৫৪)
ক্যাথরিন ম্যানসফিল্ড (জন মিডলটন মারিকে)
আজ রাতে তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা এতই গভীর ও প্রবল হয়ে উঠেছে যে, মনে হচ্ছে তা আর আমার মাঝে সীমাবদ্ধ নেই। আমি যেন ছোট্ট একটি হ্রদের মতো বিশাল পাহাড়ের আলিঙ্গনে বদ্ধ আছি। প্রিয়, তুমি সেই পাহাড়ে চড়লে আমায় নীচে দেখতে পাবে গভীর, উজ্জ্বল ও অতল। তোমার হৃদয় আমার মাঝে নিক্ষেপ করলে কখনোই তার তলদেশ ছোঁয়ার শব্দ শুনতে পাবে না তুমি।
আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি তোমাকে ভালোবাসি। শুভরাত্রি, বগি, জানি না এই ভালোবাসা কী! (জানুয়ারি ১৯১৮)
সিমন দি বেভোয়ার (নেলসন অলগ্রিনকে)
আমার প্রিয়তম, আমি তোমাকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি কি তোমার ভালোবাসার যোগ্য হব যদি না আমি আমার সমগ্র জীবনই দিয়ে দিতে প্রস্তুত না থাকি? আমি তোমাকে আগে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলাম যে, তোমাকে সমগ্র জীবন দান আমি করতে পারব না। তুমি কি বুঝতে পেরেছ? তুমি কি এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ? কখনো কি হবে না?...এই প্রশ্নটি আমার হৃদয়কে ব্যথাতুর করে: কাউকে নিজের সত্তার সম্পূর্ণটা দিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত না হয়ে কিছু অংশ কি দেওয়া উচিত? আমি কি কাউকে বলতে পারি যে, আমি তাকে ভালোবাসি, কিস্তু সে চাইলে আমি নিজেকে সম্পূর্ণরূপে তার জন্য সমর্পণ করতে পারব না? সে কি তাহলে আমায় ঘৃণা করবে না? আমাদের যখন সামনে দেখা হবে, জানি না কী হবে; আমি শুধু জানি যে, যাই হোক না কেন, আমি কখনোই নিজেকে সম্পূর্ণভাবে তোমার কাছে বিলিয়ে দিতে পারব না।...ওহ, প্রিয়তম, এই কথাগুলো বলার সময় তোমার কাছ থেকে দূরে থাকা এবং একে অপরকে দেখতে না পাওয়া অত্যন্ত পীড়াদায়ক। (ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭)