বিশেষ সাক্ষাৎকার
বিচারহীন সংস্কৃতি কোনো রাষ্ট্রের জন্য সুখের নয় : রাজিয়া রহমান জলি

প্রশ্ন : এবার ‘জাগৃতি’ থেকে কতগুলো নতুন বই আসছে?
রাজিয়া রহমান জলি : ২০টির মতো।
প্রশ্ন : এর মধ্যে আপনার ভালো লেগেছে এমন পাঁচটি বইয়ের কথা বলুন।
রাজিয়া রহমান জলি : এমন পাঁচটি বইয়ের কথা যদি বলতে হয় তবে আবুল কাসেম ফজলুল হকের ‘রাজনীতিতে ধর্ম মতাদর্শ ও সংস্কৃতি’, শ্রী কুমুদনাথ মল্লিকের ‘সতীদাহ’, কেতন শেখের ‘নিরাকার’, আসমার উসমানের ‘সব ফুল কোথায় গেছে’, রুমানা বৈশাখীর ‘অন্য ভুবন’ অন্যতম।
প্রশ্ন : এ পাঁচটি বই আপনার কাছে কেন বিশেষ মনে হলো?
রাজিয়া রহমান জলি : সাম্প্রতিক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আনলে মানুষের মধ্যে বিবেক, মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে আবুল কাসেম ফজলুল হকের ‘রাজনীতিতে ধর্ম মতাদর্শ ও সংস্কৃতি’ প্রভাব ফেলবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এ ছাড়া শ্রী কুমুদনাথ মল্লিকের ‘সতীদাহ’ সময়কে ধরে রাখার একটি প্রচেষ্টা বলা যায়। যদিও এখন আর সতীদাহ প্রথা বলবৎ নেই। এরপরও অতীতে এমন একটি প্রথা ছিল যার মাধ্যমে নারীকে স্বামীর মৃত্যুর পর দাহ করা হতো। এই বইখানা ওই সময়ের প্রতিচ্ছবি। এ ছাড়া বাকিগুলোর বিষয় বৈচিত্র্যময়তার কারণে আমার কাছে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে।
প্রশ্ন : মেলায় লেখক- প্রকাশকরা আদৌ নিরাপদ কি না? আপনি নিজেকে নিরাপদ ভাবেন কি না?
রাজিয়া রহমান জলি : অনেকটা নিরাপদবোধ করছি অন্যবারের চেয়ে। প্রচুর লোকজন মেলায় আসছে, সমাগম বেশি। একপ্রকার নিরাপদবোধ করছি বলা যায়।
প্রশ্ন : সৃষ্টিশীল লোকগুলোকে হত্যা করা হচ্ছে। বিচার হচ্ছে না কোনোটির। এ দায় কার?
রাজিয়া রহমান জলি : সৃষ্টিশীল লোকগুলো রাস্তায় পড়ে মার খাচ্ছে, জীবন দিচ্ছে এর কোনো বিচার হচ্ছে না। এ বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি কোনো রাষ্ট্রের জন্যই সুখের নয়। আমরা আবেগের জায়গা থেকে মিছিল করি, প্রতিবাদ করি, ব্যানার টানাটানি করি কিন্তু এর বাইরে আমাদের কী করার আছে? বিচারের দায়িত্ব তো আর আমাদের হাতে নেই।
এনটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।
রাজিয়া রহমান জলি : আপনাকেও।