নতুন বই
রাজীব হাসানের নতুন উপন্যাস “অতঃপর রোবট”

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তরুন লেখক, সংবাদিক, সংগঠক ও সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার রাজীব হাসানের নতুন উপন্যাস ‘অতঃপর রোবট’ প্রকাশিত হয়েছে । উপন্যাসটিতে ব্রিটেনে পড়াশোনা ব্যবস্থার পাশাপাশি আগামীতে বিশ্বজুড়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্রা) ধারা পরিচালিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শিক্ষা, ব্যবসা-বানিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা, যানবাহনসহ প্লানেটের বিভিন্ন গ্রহে রোবটের পদচারণা ভবিষৎ ধারণা নিয়ে লেখা হয়েছে। এ ছাড়া এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে কীভাবে প্রস্তুত হতে হবে, কীভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আগামীতে বিশ্ব শাসন ব্যবস্থায় স্থান করবে তাই ফুটে উঠেছে এই উপন্যাসে। অন্যদিকে অনুন্নত দেশের সিস্টেম ডেভেলপে কী ধরনে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন তাও ফুটে উঠেছে উপন্যাসটিতে।
‘অতঃপর রোবট’ উপন্যাসে ইট-পাথরের বদ্ধ নগরীতে বড় হয়েছে ইন্দ্রাণী। ধনী বাবার আদুরের দুলালী হয়েও তার জীবন কেটেছে আর দশটা সাধারণ মেয়ের মতোই। অন্যদিকে বড় ভাই সাফা প্রাচুর্যের মাঝে বেড়ে উঠায় তার জীবন সম্পূর্ণ বোনের বিপরীত। ক্যারিয়ার নিয়ে নেই কোনো ভাবনা, শুধু সঙ্গীতকে ঘিরেই জীবন। বাবা তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী। মেয়েকে চেয়েছেন ব্রিটেনের মতো উন্নত বিশ্বে পড়াতে। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয় উঠতেই মেয়েকে পাঠিয়ে দেন লন্ডনে। লন্ডনে যাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিতালী গড়ে উঠে অমিতের সাথে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বন্ধুত্ব জমে উঠতেই তারা আবিষ্কার করে তাদের দুজনের চলার পথ ভিন্ন; গন্তব্যও অভিন্ন নয়। আর তাই দুজনার বন্ধুত্বে ছেঁদ পড়তেই ইন্দ্রাণী খুঁজে পায় সুইজারল্যান্ড থেকে পড়তে আসা একই বিদ্যালয়ের অন্য এক বন্ধুর সন্ধান। যার জীবন শুধু গণিত, রোবটিক্স আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের গবেষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। পিএইচডি গবেষণারত সেই বন্ধুর সুবাদে পরিচয় হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পরিচালিত তাদেরই নির্মিত এক রোবটের সাথে। চলার পথে নানা হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ শেয়ার করতে থাকে তার সাথে। একদিন ছেদ পড়ে সে বন্ধুত্বেও। তবে নিরন্তর এগিয়ে চলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সধারী রোবটের পথচলা। নানা চরাই উৎরাই পেরিয়ে তার জায়গা হয় অবশেষে গণতন্ত্রের সূতিকাগার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। তবে শেষ পর্যন্ত কেমন আছে ইন্দ্রাণীর পরিবার, কেমন চলছে ইন্দ্রাণীর নতুন জীবন, কী করছে পরবর্তী রোবটিক্সরা?
বইটি পাওয়া যাচ্ছে বাংলা একাডেমির বইমেলার প্রাঙ্গনের ১২৭, ১২৮ নম্বর স্টলের বইপত্র প্রকাশনীতে ।