Skip to main content
NTV Online

শিল্প ও সাহিত্য

শিল্প ও সাহিত্য
  • অ ফ A
  • গদ্য
  • কবিতা
  • সাক্ষাৎকার
  • গ্রন্থ আলোচনা
  • বইমেলা
  • চিত্রকলা
  • শিল্পসাহিত্যের খবর
  • পুরস্কার ও অনুষ্ঠান
  • চলচ্চিত্র
  • আলোকচিত্র
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • শিল্প ও সাহিত্য
ছবি

বর্ণিল সাজে সেমন্তী সৌমি

লাল টুকটুকে মিম

একান্তে তাহসান-রোজা

মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর ৫ খাবার

মেট গালা ফ্যাশনে দ্যুতি ছড়ালেন কিয়ারা

গ্রীষ্মের ফুলে ভিন্নরূপে রাজধানীর প্রকৃতি

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণে প্রধান উপদেষ্টা

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার

পুলিশ সপ্তাহ শুরু

স্টাইলিশ মিম

ভিডিও
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫২৫
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫২৫
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
এই সময় : পর্ব ৩৮২০
এই সময় : পর্ব ৩৮২০
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৪
নাটক : প্রেম আমার
নাটক : প্রেম আমার
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮১
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮১
গানের বাজার, পর্ব ২৩৩
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৬
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৬
আকিমুন রহমান
১১:৪০, ১৮ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১১:১৫, ০২ এপ্রিল ২০১৫
আকিমুন রহমান
১১:৪০, ১৮ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১১:১৫, ০২ এপ্রিল ২০১৫
আরও খবর
কাজী নজরুল ইসলাম : দ্রোহের কবি, সম্প্রীতির কবি
আন্দোলন-সংগ্রাম, রাজনীতিতে নজরুল-সাহিত্যের প্রভাব
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এশিয়া অঞ্চলে বিজয়ী ফারিয়া বাশার
স্বাগত ১৪৩২: বাংলা নববর্ষ বাঙালির উৎসব
ঢাকার ঈদ মিছিলে মোগল ঐতিহ্য
উপন্যাস কিস্তি ১৪

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন

আকিমুন রহমান
১১:৪০, ১৮ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১১:১৫, ০২ এপ্রিল ২০১৫
আকিমুন রহমান
১১:৪০, ১৮ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১১:১৫, ০২ এপ্রিল ২০১৫
অলংকরণ : কান্তা রহমান

‘কোন দূরে আছে বান্ধা বাইদ্যার বহর!’

‘ইসুফ মিয়া! ইসুফ মিয়া!’ ইমাম হুজুরে ঘাউরা পোলাটারে সামলানি দেয় এখন কী প্রকারে!  সেয় তো কোরোধের কালে কথা কানে তোলোনের বান্দা না! দিশা বিশা না পাইয়া হুজুরে তারে কাতর গলায় ডাকা ধরে, ‘ইসুফ মিয়া ইসুফ মিয়া! বাপ,কতা হোন! মুরুব্বি হইয়া তোমারে হাতে ধইরা কই, বাজান, মাথা ঠাণ্ডা করো! দশজোনে দশকতা কয় যেইখানে, তারেই কয় মজলিশ!’

হুজুরে একদিগে বুঝ দিতে থাকে, আরেকদিগে দেখো- কী সোন্দর ইসুফ মিয়ায় ঠাণ্ডা হইয়া যাইতে থাকে। হুজুরে সেইটা খেয়াল করে ঠিকই, তাও বুঝের কথা থামাতে তার সাহস হয় না। থামানির লগে লগে আবার যুদি ছেড়ায় ফাত কইরা ওঠে! 

সেই কারণে হুজুরে বুঝ দেওন চালাইতেই থাকে, ‘বাজি, তুমি বুজদার পোলা! তোমারে আর আমি কী বুজামু! বোজো তো তুমি, মাতা গরোম করোনের ওয়াক্ত না এইটা! দশের লগে চলতে গেলে দশের কতা হোনতে অইবোই! আবার দশ মোখের দশ কতারে ধরলেও চলবো না।  আসল কথা মাতায় রাখোন লাগবো হগলতের আগে। আমাগো আসল কতা কি? জুলেখারে ফিরতি পাওনের রাস্তা বিছরান। সেই কতা বন কইরা, উল্টা সিধা কতা কইলে চলবো আমাগো? চলবো না। জুলেখার বাপ-মার বিপদবালাই ক্যামনে দূর করোন যাইবো, আহো বাজি হেই পথ বিছরাই!’

হুজুরের কথাও শেষ হয়, মসজিদের মুলিবেড়ার কিনার থেকে আবার কান্দনের জোর আওয়াজ ওঠে। কান্দতে কান্দতে জুলির বাপে একবার বাঁশের খুঁটিতে মাথারে বাড়ি দিতে থাকে, একবার বুকে থাপ্পড় মারতে থাকে।

‘এটি কী করতাছেন কাক্কা!’ মজলিশের আরেকমুড়ায় বসা ইসুফ মিয়ায় লোকের গাও বাঁচানি দিয়া তরাতরি পাও ফেলে জুলেখা বিবির বাপের দিকে আসে। আইসা, দুঃক্ষে ফাতাফাতা বাপটারে জাবড়ানি দিয়া ধরে বলে, ‘এইটা কী আকাম করতাছেন আপনে! বুজদার মাইনষে না-বুজের কাম করলে চলেনি কাক্কা!’

তারপর আঁতকা আবার হাঁকানি দিয়া ওঠে ইসুফ মিয়ায়,‘ এমুন ভালামাইনষের মাইয়ারে কুকতা কয় যেরা, হেরা আমাইনষের ছাও! দশজোনরে জিগাই, আমাগো হগলতের ঘরে মা-বইন আছে, যেই মাইয়া গেরামের পোলা-বুড়া কোনো একটা জোনের দিগে চোক তুইল্লা কতাও কয় নাইক্কা কোনো দিন, হেরে এমুন কলঙ্কী বানানি! খোদায় সইবো এটি!’ এই কথা কইতে কইতে দেখো ইসুফ মিয়ার গলাও কান্দা ধরে।

গলার কী দোষ!  ভিতরে ভিতরে যে তার পরান কানতাছে কাউলকা দুপোর তেনে- হায় হায় হায়! সেই কান্দনের দুই এক ঝাটকা কী বাইর না হইয়া পারব! গলা আর কতখোন আটকানি দিয়া রাখব সেই চিক্কুর! কতখোন সেয় নিজেই সেই তুফানরে ভিতরে হামলানি দিয়া রাখব আর! জানে না, ইসুফ মিয়ায় কিছুই জানে না।

আর, এদিগে দেহো কিছমতের কী তামশা! সোনার টুকরা জুলেখারে নিয়া অই পয়মালের-পুতের কুকতা আজকা ইসুফ মিয়ারে হোনতেও হইলো, বরদাস্ত করতেও হইলো! সেয় অই বুইড়ার পো বুইড়ার টুটিটা ছিড়তে পারল না!

জুলিয়ে, ইসুফরে ছাড়া দিন-দুনিয়ার কী চিনে! কিছু চিনে না। গেরামের দশজোনে কিছু না জানুক, সেয় নিজে জানে জুলি তার জিন্দিগির কোনখানে বসত করে! সেয় পলাইলে কার হাত ধইরা পলাইতো! এই ইসুফের হাতখান ধইরা পলাইতো! পলায় নাই; পলানি দেওনের মাইয়া সে না। তারে বাইদ্যানিরাই ধইরা লইয়া গেছে গা! এই সকল কথা ইসুফ মিয়ার অন্তরে লড়েচড়ে, আর জুলেখার বাপেরে জাবড়ানি দিয়া ধইরা গলা তার ফোঁপাতে থাকে বেশুমার।

ইসুফ মিয়ার  অমুন আঁতকা ফোঁপানি  মজলিশরে টাসকি-খাওয়া বাক্যিহারা বানায়ে দেয়। এই মাথা-গরম, ঘাউরা, ঠ্যাটা পোলাটার দিলনি এমুন নরোম! বোজা যায় নাইক্কা তো কোনোকালে! ‘ইসুফ মিয়া- বাবা!’ ইমাম হুজুরে তারে একবার ডাক দেয়, তারপর পুরা মজলিশরে উদ্দিশ করে কওয়া ধরে,‘ হাজেরানে মজলিশ! ইসুফ মিয়ার চক্ষে যে পানি, হেইটা এমনে এমনে বিনা কারণে না! তার মস্তো কারণ আছে।’ সকলের মোখ চোখ সেই কারণ খান জানোনের লেইগ্যা অস্থির হয়ে যায়, কিন্তু তাগো কারোরই মুখে জবান ফোটে না।

‘ইসুফ মিয়ার দিলে যে কান্দন, আমার পরানও সেই একই কান্দন কানতাছে!’ ইমাম হুজুরে কয়, ‘সেই কারণেই আপনেগো হগলতেরে আবার একলগে করছি এইনে। আমার দিল কান্দতাছে এই তরাসে যে, আউজকা  এক বাড়ির জুলেখা বিবিয়ে নাই হইছে, কাউলকা অন্য বাড়ির আরেকজোনে যাইব! গেরামে সর্বনাশ ঢুকছে! তার আলামত হইতাছে জুলেখার হারানি।’

হুজুরের কথায় মজলিশের শইল্লে কাঁটা দিয়া ওঠে। ‘ঠিক কইছেন তো হুজুর! ঠিকই তো মোনে হইতাছে!’ তাগো সকলের কাছেই হুজুরের কথারে সঠিক মোনে হইতে থাকে। তারা সমস্বরে হুজুরের কথায় সায় দেয়; তবে সেই সায় দেওয়ার কথারে কথা মনে হয় না। তারে ডর-লাগা গোঙানির মতোন শোনায়।

তাইলে এর তো বিহিত করা লাগে! হাজেরানে মজলিশ গাও-ঝাড়া দিয়া ওঠে। কিন্তু কী বিহিত করব তারা! আগের রাইতে গেরামের মানুষ নানা গেরামে গিয়া ঢেন্ডেরা দিয়া আসছে। সেই ঢেন্ডেরার তো কোনো ফল ফলে নাই। কোনো খবর কোনোদিক তেনেই পাওয়া যায় নাই। পুষ্কুনি, ঝোপ-জঙ্গল কিছু বিছরানি দেওন বাদ রাখে নাই গেরামের মাইনষে। জুলেখার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় নাই।

সকলের শোনা আছে, বানবাতাসে কোনো কোনো সোম মানুষরে নিয়া গাছের আগায় তুইল্লা থোয়। শেষে তার গলায় টিপি দিয়া মারে, নাইলে ঘাড় ভাইঙ্গা ফালাইয়া থুইয়া যায়। মনেরে বুঝ দেওনের লেইগা, অতি বুড়াগো কথামতো, গেরামের যতটি উঁছা গাছ আছে,তার সবগুলিতে যেয় যেমনে পারছে উইট্টা দেখছে। কিন্তুক সবগাছ খালি, ফকফক্কা। জুলেখার লাশ কোনো ডালে নাই। তাইলে অখন আর কী করবো গেরামের লোকে! হুজুরেই রাস্তা বাতাইয়া দেউক তাগো অখন!

হুজুরে কয় যে, দশজোনে তাগো সাধ্য মতোন যা করছে, এর উফরে আর কতা নাইক্কা! তারপরও যে মাইয়াটার কোনো খোঁজ মিলল না, এইটা কপালের গরদিশ ছাড়া আর কিছু না। কিন্তু তাও খোঁজ পাওনের চেষ্টাটা বন করোন যাইবো না!

‘কী করবো তাইলে অখন গেরামের মাইনষে! ইমাম হুজুরে কইয়া দেউক খালি একবার, সগলতে জান দিয়া সেই ফরমাইশ পালন করব!’ মন্তাজের বাপে ছাড়া মজলিশের সকলের মুখেই এই এক কথা। হুজুরে কয় যে, গেরামের পুরুষপোলারা সগলে নিত্যি, খোদার তিরিশটা দিন, বিষয়-কর্মে নানান জায়গায় যাইতাছে। কেউ যাইতাছে সেই গঞ্জের সদরে, নারায়ণগঞ্জে।

কেউ গাঙ পাড়ি দিয়া যাইতাছে সোনাকান্দা কী লক্ষ্মণখোলা। আউজকাও তারা বেবাকেই যার যার কর্মে যাইব। অখন, যে যেইনে যাইতাছে; সেয় য্যান সেইনেই চোখ-কান খোলা দিয়া চলে। য্যান খেয়াল রাখে, মাইয়াটার কোনো খোঁজ মিলে কি না! বাতাসেও যুদি মাইয়াটার কোনো গন্ধ পাওয়া যায়, খপ কইরা সেইটারেই য্যান ধরে। শেষে, পরের ব্যবস্থা পরে করোন যাইব।

এমনে তেমনে যেয় যেমনে পারে জুলেখার খোঁজখান চালাইয়া য্যান যায়- ইমাম হুজুরে সগলতেরে  খোসামোদ কইরা কয়। সঙ্গে সেয় এও কয় যে; সেয় নিয়ত করছে একবার নিজে গিয়া বাইদ্যার বহরে তল্লাশি দিব। আউজকাই যাইব। বেইল আট্টু চড়লেই মেলা দিব হুজুরে।

তার অন্তর য্যান কইতাছে, জুলেখারে ভোন্দা বানাইয়া নিজেগো কোনো নাওয়ে নিয়াই ফালাইয়া থুইছে বাইদ্যানিরা। গিয়া একবার তল্লাশিটা দিলেই মাইয়াটারে পাওন যাইব! এই একদিনের মধ্যে বহর উঠাইয়া যাওনও বাইদ্যাগো পড়তায় পড়োনের কথা না। কাজেই তারা যেমনে নোঙর ফালাইছে, তেমনেই আছে। সেই বহরে গিয়া অখন খালি তল্লাশিটা দিলেই হইবো!

বাইদ্যাগো সেই জাদুটোনা, ধুলি-পড়া কাটানের লায়েক মানুষ এই দেওভোগ গেরামে  কে আছে! আছে একমাত্র এই ইমাম হুজুরেই। কাজেই বাইদ্যার বহরে তল্লাশি দিতে তারেই যাওন লাগব। গেরামের অন্য কোনোজোনরেই লগে যাইতে কইব না সেয়। যারেই নিবো, তারেই একটা পুরাদিন কর্মে কামাই দিতে হইবো। দিনকার রুজির উপরে  এমুন গ্যাঞ্জাম দেওনের কোনো হক হুজুরের নাই। সেই কারণে যাইবো সেয় একলাই। দেহি, আলা নসিবে কী আছে! হুজুরে মজলিশরে বিদায় দিতে দিতে নিজের কথাখান শেষ করে।

বিদায় নিতে নিতে সগলে দেখে যে, ইসুফ মিয়ায় ক্যান জানি হাত-জোড় কইরা হুজুররে কী কওনের লেইগা খাড়াইছে। আবার তার কী কওনের আছে! কওনের আছে একখান খালি কথা! ইসুফ মিয়ায় হাতজোড় করে হুজুররে কয়,‘ হুজুর! আমারে আপনের লগে নেন! আপনে একলা মানুষ! বাইদ্যার দলের লগে মুকাবিলা করতে গিয়া যুদি ফেসাদ বান্ধে! একলা মানুষ আপনে তহন কোনদিগে যাইবেন?’

হুজুরের অন্তর খুশি হইয়া যায়। সেয় কয়, ‘বাজি, তোমার বুঝ-বিবেচনা তো আল্লায় কম দেয় নাই! তোমার মা-বাপের কিমুন খোশ-নসিব!’

বাইদ্যার বহরের তল্লাশিতে বাইর হইতে গিয়া হুজুরে দেখে, কঠিন অবস্থা! দেওভোগ গেরামের দক্ষিণ দিয়া যে খালখান গেছে, সেইটা গিয়া পড়ছে দূরের শীতলক্ষ্যা নদীতে। বাইরা মাসে অই খাল যেমুন টুপটুপা ভরা থাকে, তেমুন খালের দুই দিকের সকল খেতিখোলাও থাকে বাইর‍্যা মাইস্যা পানিতে ডুবা।

সেই ভরা খাল বাইয়া তখন বাইদ্যার বহর আইসা উপস্থিত হয় এই স্থানে। তারা নোঙর ফালায় গেরাম তেনে বহু দূরে, খালের নিরালা কোনো জায়গায়। তারপর একটা দুইটা কোষা নাওয়ে কইরা তাগো বাইদ্যানিরা নানান গেরামের দিকে যায়, দেওভোগ গেরামেও আহে। সারাদিন হাঁটু পানি, কোমর-পানি ভাইঙ্গা ভাইঙ্গা দেওভোগের এক মাথার তেনে আরেক মাথায় যায়।

আর,গলা উঁচায়া ডাক দিতে থাকে, ‘শিঙা লাগাই! বিষব্যথা সারাই! বদ-রক্ত ফালাই! লাগবো নি গো কেউর? শিঙা লাগাই!’ বাইরা মাসের সেই সময়ে দিন পনেরো, একদিন দুইদিন অন্তর অন্তর বাইদ্যানীগো আনাগোনা চলতেই থাকে। আর, বাড়ির মা-বৌয়েরা যার যেমুন লাগে, বাইদ্যানিগো দিয়া তাগো ঠেকা কাম সারাইয়া লয়।

তবে এই অঞ্চলে তারা শুকনার দিনে আসে কদাচিৎ। না-পারতে আসে। কোনোরকম ঠেকার কর্ম কোনো প্রকারে সামলাতে আসে তারা কোনো কোনো সময়। পাঁচ বছরে হয়তো একবার দেখা যায় যে, বাইরা মাসের পরে আবার তারা মাঘ ফাল্গুন মাসেও আইসা হাজির। তেমন শুকনার দিনে তারা যখন আসে, তখন তাগো বহর বান্ধা থাকে মূল গাঙে। সেই কোন কদম রসুলের ঘাট ছাড়াইয়া আরো দূরে। সেই দিকে দেওভোগ গেরামের মানুষের কোনো কারণেই যাওয়া পড়ে না।

সেইখানে বহর বাইন্ধা বাইদ্যানিরা হাঁটতে হাঁটতে আসে গঞ্জের সদরে, নারায়ণগঞ্জে। সদররে পাক দেয় দিন পনরো, তারপর তাগো কোনো কোনো দল আসতে আসতে এই কয়ঘর মাত্র লোকের বসতি- দেওভোগ গেরামেও আসে। তবে সেটা তো নিত্যি বছরের ঘটনা না। আঁতকা কোনো এক বছরের ঘটনা। এখন, এইবারের এই চৈত্র মাসে কি আইছিল বাইদ্যানিরা? আইছে তারা? শোনা গেছে তাগো ডাক? লাগবো নি গো, শিঙা লাগাই,বিষ রক্ত ফালাই!

 তাগো শিঙা ফুঁকানির আওয়াজ পাইছিল নি গেরামের বৌ-ঝিয়েরা, এরমধ্যে কোনোদিন? তারা মাথা ঠাণ্ডা কইরা স্মরণ করুক তো, বাইদ্যানিগো ডাক-হাঁক তারা পাইছিল কি না এই চৈত মাসে! ইমাম হুজুরের হুকুম পেয়ে গেরামের মা-চাচি, আঙর-ডাঙর ঝি-বৌরা বহুত মনে করার চেষ্টা করে। আইছিল? আইছে নি! নাহ! একজোন কেউও স্মরণে আনতে পারে না যে, এর মধ্যে বাইদ্যানিগো শিঙার আওয়াজ তারা পাইছিল, নাকি পায় নাই!

(চলবে)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন  (কিস্তি ১৩)​
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১২)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১১)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১০)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ৯)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ৮)​
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (সপ্তম কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (ষষ্ঠ কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (পঞ্চম কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (চতুর্থ কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (তৃতীয় কিস্তি)​
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (দ্বিতীয় কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (প্রথম কিস্তি)

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. শুধু অভিনেতা নন, পেশাদার পাইলটও ছিলেন মুকুল দেব
  2. বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ঘরবন্দি ছিলেন মুকুল দেব
  3. পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ২৫ কোটির মামলা ঠুকলেন অক্ষয় কুমার
  4. টিজারেই ঝড় তুলল ‘ওয়ার ২’, মুক্তির তারিখ ঘোষণা
  5. বিয়ে নয়, এবার ‘লিভ ইন’ করতে চান সামান্থা!
  6. হিরানি-আমির জুটি এবার বায়োপিকে
সর্বাধিক পঠিত

শুধু অভিনেতা নন, পেশাদার পাইলটও ছিলেন মুকুল দেব

বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ঘরবন্দি ছিলেন মুকুল দেব

পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ২৫ কোটির মামলা ঠুকলেন অক্ষয় কুমার

টিজারেই ঝড় তুলল ‘ওয়ার ২’, মুক্তির তারিখ ঘোষণা

বিয়ে নয়, এবার ‘লিভ ইন’ করতে চান সামান্থা!

ভিডিও
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫২৫
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫২৫
টেলিফিল্ম : বীথি পরিবহন
টেলিফিল্ম : বীথি পরিবহন
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
গানের বাজার, পর্ব ২৩৩
নাটক : প্রেম আমার
নাটক : প্রেম আমার
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৪
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, পর্ব : ১২

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x