ড. আমিনুল ইসলামের সমকালীন গল্পের বই ‘১০১ ইন্ট্রোডাকশন টু বাংলাদেশ’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/02/08/aminul.jpg)
অমর একুশে বইমেলায় ড. আমিনুল ইসলামের সমকালীন গল্পের বই ‘১০১ ইন্ট্রোডাকশন টু বাংলাদেশ’ এবং ‘আত্মহত্যার মৃত্যুদণ্ড’ বই দুটো বেশ আলোড়ন তুলেছে পাঠকদের মাঝে। সকল শ্রেণির পাঠকরা বই দুটোর প্রশংসা করছেন। বিশেষ করে তরুণর সমাজের মাঝে দুটো ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বই দুটো প্রকাশিত হয়েছে অন্বেষা প্রকাশনী থেকে। প্রথম বইটির প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু। দ্বিতীয় বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আদনান আহমেদ রিজন। বই দুটোর মূল্য ২৭৯ টাকা হলেও মেলা উপলক্ষে বইটি ২০৩ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মেলায় বইটি পাওয়া যাচ্ছে অন্বেষা প্রকাশনে ২৭ নাম্বার প্যাভিলিয়নে।
‘১০১ ইন্ট্রোডাকশন টু বাংলাদেশ’ বইটির মূল চরিত্র রায়হানের জন্ম ও বেড়ে উঠা ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরে। সে তার বাবা-মায়ের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক ভালো কিছু শুনেছে। কিন্তু এই দেশটি সে কখনো দেখেনি। রায়হানের বাবা-মা'র খুব ইচ্ছা জীবনের একটা পর্যায়ে তারা বাংলাদেশে ফেরত যাবে। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে রায়হানকে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠাবে। একটা সময় রায়হান চলে আসে বাংলাদেশে। বাবা-মায়ের মুখে শুনা চমৎকার সব বর্ণনা গুলো সে মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে বাস্তবে। এভাবে সম্পূর্ণ নতুন একটা দেশে রায়হানের নানা অভিজ্ঞতা হতে থাকে। সেই অভিজ্ঞতা গুলোই এই গল্পে তুলে আনা হয়েছে। রায়হানের অভিজ্ঞতা গুলোর মাধ্যমে লেখক বাংলাদেশের মৌলিক যে সমস্যা গুলো আছে। সে গুলো তুলে এনেছেন।
‘আত্মহত্যার মৃত্যুদণ্ড’ বইটির প্রেক্ষাপট একটি আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে। উপন্যাসের মূল দুই চরিত্র ইভান এবং ফুয়াদ। এদের একজন পড়াশুনা শেষ করে বিসিএস ক্যাডার হবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আরেকজন এর মাঝে বিসিএস দিয়ে পুলিশ অফিসার হয়ে গিয়েছে। এই দুজনের সাক্ষাৎ হয় একটি অসফল আত্মহত্যার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে। সেই আত্মহত্যার কারন জানতে গিয়ে উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র গুলো সামনে চলে আসে। যেখানে আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা, চাকরি, সামাজিক মূল্যবোধ, রাজনীতি, প্রেম ভালোবাসা কিংবা পারিবারিক সম্পর্কগুলোও সামনে চলে এসেছে। সমাজের সাধারণ মানুষের না বলা গল্প গুলো উঠে এসেছে এই উপন্যাসের মাধ্যমে।
বই দুটো কেন পাঠকরা এত পছন্দ করছেন, এই প্রশ্ন করা হলে লেখক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন- ‘বই দুটো বাংলাদেশের বর্তমান সমাজ এবং সাধারণ মানুষের গল্প। তাই তারা নিজেদের জীবনের সাথে বই দুটোকে সম্পৃক্ত করতে পারছে।’
বই মেলার ইতিবাচক দিক উল্লেখ করে লেখক বলেন ‘এই সময়টায় লেখক এবং পাঠকদের এক রকম মিলন মেলা হয়। তাদের মাঝে ভাবের আদান-প্রদান হয়। এর একটা আলাদা আবেদন আছে।
এই দুটো বই ছাড়াও ড আমিনুল ইসলামের আরো তিনটি বই রয়েছে। এর মাঝে ২০১৬ বই মেলায় অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত "এসো মানুষ হই" এবং ২০২৩ বই মেলায় অন্বেষা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বই ‘লাইফ অ্যাজ ইট ইজ’ বই দুটোও ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল।
এই দুটো বই ছাড়াও ড. আমিনুল ইসলামের আরো তিনটি বই রয়েছে। এর মাঝে ২০১৬ বই মেলায় অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত "এসো মানুষ হই" এবং ২০২৩ বই মেলায় অন্বেষা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বই ‘লাইফ অ্যাজ ইট ইজ’ বই দুটোও ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল।