অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের টাকার জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার মধুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ লাভলী খানমের বাবার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার চণ্ডীবেড় এলাকায়।
নিহত গৃহবধূর স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর গৃহবধূ লাভলী খানম স্থানীয় একটি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান। কিন্তু তাঁর বেতনের সব টাকা স্বামীর হাতে তুলে দিতে বাধ্য হতেন। এ ছাড়া তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি যৌতুকের টাকা আনতে প্রায়ই চাপ দিতেন। টাকা আনতে অস্বীকার করলে তাঁরা নির্যাতন করতেন।
এ বিষয়ে নিহতের ভাই সোহেল খান বলেন, ‘আমার বোন নয় বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন। কিন্তু তাঁর কোনো স্বাধীনতা ছিল না। প্রতিটি মুহূর্তে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত। তাঁরা বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য চাপ দিত। এ নিয়ে আমার বোনের সঙ্গে ঝগড়া লেগেই থাকত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার বোনকে মেরে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এ ঘটনায় আমরা আশুগঞ্জ থানায় মামলা করব।’
তবে এ বিষয়ে নিহত লাভলী খানমের স্বামী খায়েশ মাস্টার এবং শ্বশুর আব্দুর রউফের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চাইলে তাঁদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে লাভলী খানমের বাবার বাড়ির লোকজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখানো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’