আশুলিয়ায় বিষ দিয়ে হাঁস নিধনের অভিযোগ
সাভারের আশুলিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বিষ প্রয়োগ করে দেশি ও বিদেশি প্রজাতির প্রায় ২৫০টি হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার সকালে আশুলিয়ার দরগারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই হাঁসগুলোকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ খামারির। মারধর করা হয়েছে খামারের ম্যানেজারকেও। এতে তার চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন খামারি। খামারটির মালিক আশুলিয়ার দরগারপাড় এলাকার রাশেদ ভুইয়া।
খামারের মালিক রাশেদ ভুইয়া জানান, তার চাচাতো ভাইয়ের লিজ নেওয়া জায়গায় এক বছর আগে শখ করে হাঁসের খামার গড়ে তোলেন তিনি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিদেশি প্রজাতির ১০০টি বেলজিয়াম ও ১৫০টি খাকি ক্যাম্বোল প্রজাতির হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করে খামার করেন। হাঁসগুলো দেখাশোনা করার জন্য একজন ম্যানেজারও রাখেন তিনি।
রাশেদ ভুইয়া আরও জানান, আজ সকালে ম্যানেজার তাকে ফোন করে জানান জাহাঙ্গীর, ফারুক, বশিরসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও দু-তিনজন মিলে তার কাছে শেডের চাবি চায়। চাবি না দিলে তাকে মারধর করে তারা। একপর্যায়ে জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে যান ম্যানেজার। কিছুক্ষণ পর এসে দেখেন হাঁসগুলো লাফিয়ে লাফিয়ে মারা যাচ্ছে। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই জাহাঙ্গীরের সঙ্গে জমি নিয়ে তার বিরোধ চলে আসছে। গতকালও জাহাঙ্গীর খামারে দুজন লোক পাঠিয়ে ১০টা হাঁস চেয়েছিলেন খাওয়ার জন্য। এতে রাজি না হওয়ায় হুমকি দিয়ে যায় তারা।
রাশেদ ভুইয়া বলেন, আমি জিডিও করেছিলাম। এরই জেরে আমার হাঁসগুলো মেরে ফেলা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসওয়াদুর রহমান বলেন, রাশেদ ভুইয়া নামে এক ব্যক্তি তাকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় জিডি করেছেন। তবে হাঁস মারা যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করার পর বিষয়টি আমরা দেখব। পরে পুলিশের মাধ্যমে মরে যাওয়া হাঁস ফরেনসিতে পাঠানো হবে। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।