কারখানা বন্ধে বিক্ষোভে উত্তাল আশুলিয়া, চার পুলিশসহ আহত ১৫

বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে সাভারের আশুলিয়ায় নাসা গ্রুপের ১৬টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রমিকরা বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৪ জন পুলিশ সদস্যও আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ-১-এর পরিচালক মমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া।
বুধবার সকাল থেকে নাসা গ্রুপের শ্রমিকরা তাদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে শ্রমিকদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের মুখে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষে ৪ জন পুলিশ সদস্য ও শ্রমিকসহ ১৫ জন আহত হন।
জানা গেছে, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ২ অক্টোবর থেকে কারাগারে থাকায় তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় দফায় দফায় কারখানা বন্ধের নোটিশের পর কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে কারখানাগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
এতে নাসা বেসিক, নাসা গ্লোবাল ও নাসা হাইটেকের ২৭ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এই ঘটনার জেরে গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে নাসা গ্রুপ তাদের সম্পত্তি বিক্রি করতে রাজি হয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে কারাগারে থেকেই নজরুল ইসলাম মজুমদার সম্পত্তি বিক্রির পাওয়ার অব অ্যাটর্নি-বিষয়ক নথিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, শ্রমিকদের আগস্ট মাসের বেতন ১৫ অক্টোবরের মধ্যে, সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এবং অন্যান্য পাওনা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করার কথা। এই ঘোষণার পরপরই শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা আন্দোলনে নামেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিল্পাঞ্চলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।