করোনার ভুয়া রিপোর্ট : ডা. সাবরীনা-আরিফের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন ৮ জুন
নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফ, সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ৮ জুন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এই আদেশ দেন। এদিন এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু নিয়মিত বিচারক ছুটিতে থাকায় নতুন দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
এদিকে আজ ডা. সাবরীনা-আরিফসহ সব আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। গত বছরের ২০ আগস্ট আলোচিত এই মামলাটির অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ডা. সাবরীনা, আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। ওই দিন আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন করায় বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন নির্ধারণ করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের গত ৫ আগস্ট মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতে ডা. সাবরীনা, সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অপর ছয় আসামি হলেন শফিকুল ইসলাম রোমিও, জেবুন্নেসা, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী ও বিপ্লব দাস।
অভিযোগপত্রে ডা. সাবরীনা ও আরিফুল হক চৌধুরীকে এই অসাধুচক্রের মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাঁদের সহযোগিতা করেন বলে বলা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৩ জুন সাবরীনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
এ ছাড়া ২০২০ সালের ১২ জুলাই দুপুরে ডা. সাবরীনাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগীয় উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।