কেনাবেচার হাটে যদি কেউ না ওঠে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত : গয়েশ্বর
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/01/22/gyyeshbr-raayy.jpg)
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘জনযুদ্ধ, গণযুদ্ধ, গণতন্ত্রের জন্য যে যুদ্ধ, আশা করি বেইমানি করবেন না। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, বিএনপি বেইমানি করবে না, খালেদা জিয়া এখনও জীবিত। তিনি বেইমানিও জানেন না, আপস জানেন না। সে কারণেই তার কপালে এতো কষ্ট। তারেক রহমানের বেইমানি করার সুযোগ নাই, আঁতাত করারও সুযোগ নাই। কারণ তার জীবন-মরণ মাতৃভূমিকে ঘিরে...। তাই কেনাবেচার হাটে যদি কেউ না ওঠে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আজ রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি এবং জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এই সরকারের বিদেশি বন্ধুরা কিছু কিছু দেনদরবার কেনাবেচা করে থাকে। সত্য-মিথ্যা জানি না, কানে আসে। সুতরাং ঐ কেনাবেচার হাটে যদি কেউ না ওঠে তাহলে বিএনপির সাথে বিশ্বাস করে শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলন আগামীদিনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন বাংলাদেশে নিশ্চিত; কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘আমার বই লেখার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এখন মনে হয় আমার কথাগুলো বলতে হবে। তাই আমি বই লিখবো। আজকে সূচনার কিছু কথা বললাম। কারণ আমি আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতাকে চিনি তাজউদ্দিন থেকে শুরু করে। কথাগুলো সবার জানার দরকার।’
শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভোট চুরি যদি অপরাধ বুঝতে পারেন তাহলে মানে মানে কেটে পড়ুন। সত্যি কথা বললে দেশদ্রোহী, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেই অপরাধ।’
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়নি উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি নাকি বলছি স্বাধীনতা বাই চান্স? স্বাধীনতা বাই চান্স আওয়ামী লীগের জন্য হতে পারে। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। দেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে।’
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘একজনের বক্তব্য পুরোপুরি না শুনে, খণ্ড খণ্ড বক্তব্য কেটে, তা দিয়ে দেশদ্রোহী, রাষ্ট্রদ্রোহী বানাতে পারবেন। যাক এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাই না, রাষ্ট্রের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললেই রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে যায় না।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ এর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য নুরুল হক নুরু প্রমুখ। অলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।