খুমেকে রোগীর মৃত্যুর পর চিকিৎসক-সেবিকাসহ ১৬ জন কোয়ারেন্টিনে

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, সেবিকাসহ ১৬ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। খুমেকের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শৈলেন্দ্রনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শৈলেন্দ্রনাথ জানান, মৃত ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, রাজধানীর একটি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। তাঁর মধ্যে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ ছিল এবং রাজধানীর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসার বিষয়টি তাঁর পরিবার গোপন করেছিল।
ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মুর্শেদ।
আরএমও শৈলেন্দ্রনাথ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁর স্বজনরা জানান যে ওই ব্যক্তি আগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে এক করোনা রোগীর মৃত্যুর গুঞ্জন শুনে ওই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে তিন দিন আগে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় খুমেক হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, নতুন করে ১১৫ জনসহ মোট এক হাজার ৭২৬ জন কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এর মধ্যে খুমেক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঁচজন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১৬ জন রয়েছেন।