খুলনার পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২১টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং ১২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া একটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ফলাফল স্থগিত রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিভাগীয় আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী ও উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কয়রা উপজেলার ছয়টি ইউপির নির্বাচন

কয়রা উপজেলার ছয়টি ইউপির নির্বাচনে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন— উপজেলার আমাদি ইউপির জিয়াউর রহমান, বাগালী ইউপির মো. আবদুস সামাদ গাজী, মহেশ্বরীপুর ইউপির শাহনেওয়াজ শিকারী, মহারাজপুর ইউপির মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও উত্তর বেদকাশী ইউপির মো. নুরুল ইসলাম সরদার।

বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) হলেন—দক্ষিণ বেদকাশী ইউপির আছের আলী।

দাকোপ উপজেলার নয়টি ইউপির নির্বাচন

দাকোপ উপজেলার নয়টি ইউপি নির্বাচনে সাতটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন—দাকোপ সদর ইউপির বিনয় কৃষ্ণ রায়, কৈলাশগঞ্জ ইউপির মিহির মণ্ডল, সুতারখালী ইউপির মাসুম আলী ফকির, কামারখোলা ইউপির পঞ্চানন কুমার মণ্ডল, বাজুয়া ইউপির মানস কুমার রায় ও বানিশান্তা ইউপির সুদেব কুমার রায়। এর আগে উপজেলার লাউডোব ইউপিতে আওয়ামী লীগের শেখ যুবরাজ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন—তিলডাঙ্গা ইউপির জালাল উদ্দিন গাজী ও পানখালী ইউপির সাব্বির আহমেদ।

বটিয়াঘাটা উপজেলার তিনটি ইউপির নির্বাচন

বটিয়াঘাটা উপজেলার তিনটি ইউপি নির্বাচনে একজন আওয়ামী লীগ এবং দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন—আমীরপুর ইউপির জি এম মিলন।

বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন—গঙ্গারামপুর ইউপির আসলাম হালদার এবং বালিয়াডাঙ্গা ইউপির শেখ মো. আসাবুর রহমান (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী)।

দিঘলিয়া উপজেলার ছয়টি ইউপির নির্বাচন

দিঘলিয়া উপজেলার ছয়টি ইউপি নির্বাচনের পাঁচটিতে স্বতন্ত্র (এর মধ্যে চারজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) এবং একটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা (স্বতন্ত্র) হলেন—গাজীরহাট ইউপির মো. মফিজুল ইসলাম, দিঘলিয়া সদর ইউপির মো. হায়দার আলী মোড়ল, সেনহাটী ইউপির জিয়া গাজী ও যোগীপোল ইউপির মো. সাজ্জাদুর রহমান লিংকন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন—আড়ংঘাটা ইউপির এস এম ফরিদ আকতার।

বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন—বারাকপুর ইউপির গাজী জাকির হোসেন।

পাইকগাছা উপজেলার নয়টি ইউপির নির্বাচন

পাইকগাছা উপজেলার নয়টি ইউপির নির্বাচনে সাতটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন—সোলাদানা ইউপির মো. আবদুল মান্নান গাজী, রাড়ুলী ইউপির আবুল কালাম আজাদ, গদাইপুর ইউপির শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, দেলুটি ইউপির রিপন কুমার মণ্ডল, লতা ইউপির কাজল কান্তি বিশ্বাস, লস্কর ইউপির কে এম আরিফুজ্জামান ও কপিলমুনি ইউপির মো. কওছার আলী জোয়াদ্দার।

বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা (স্বতন্ত্র) হলেন—চাঁদখালী ইউপির শাহজাদা মো. আবু ইলিয়াস ও গড়ইখালী ইউপির আবদুস সালাম।

এদিকে, কয়রা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হযরত আলী জানান, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ায় কয়রা সদর ইউপির ৪ নম্বর কয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সে কারণে ওই ইউপির চেয়ারম্যান পদের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে।