ফ্রান্সে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র এঁকে অবমাননা এবং ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে খুলনা মহানগরী। খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের ডাকে আজ শুক্রবার বিকেলে নগরীর ডাকবাংলো চত্বরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা ইমাম পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান। বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, ইমাম পরিষদ নেতা মাওলানা নাজমুস সউদ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মুফতি জিহাদুল ইসলাম, মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আনিসুজ্জামান, মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, মাওলানা নূর জালালী, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা ইলিয়াস ফকির, মুফতি ইমরান বিন হুসাইন, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, মুফতি রবিউল ইসলামসহ খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও ওলামা নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং সেখানকার পত্রিকা শার্লি হেবদো কর্তৃক মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে অবমাননার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। বক্তারা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা বিল পাস এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ফ্রান্সের সব পণ্য নিষিদ্ধ করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্রান্স মহানবী (সা.)-এর অবমাননা করে বিশ্ব নিন্দিত কাজ করেছে। রাসূলের (সা.) অপমানে কোনো মুসলমান বসে থাকতে পারে না। প্রয়োজনে ফ্রান্সকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করতে বিশ্বের সব মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিহাদের ডাক দেবে।

বক্তারা ফ্রান্সের সঙ্গে সব সম্পর্ক পরিত্যাগ এবং ফ্রান্সের সব পণ্য বর্জন করতে বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে ‘সালাম’ ও ‘আল্লাহ হাফেজ’ নিয়ে কটূক্তি করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিয়া রহমানকে বহিষ্কার এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও উসকানি সৃষ্টির অভিযোগে একাত্তর টেলিভিশন বন্ধের আহ্বান জানান।

এর আগে খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ড থেকে স্থানীয় মসজিদের ইমামদের নেতৃত্বে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল ডাকবাংলো চত্বরে জড়ো হয়। পিকচার প্যালেস মোড়, হুগলি বেকারি থেকে শুরু করে ডাকবাংলো ফেরিঘাট পর্যন্ত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের আগমন ছিল।

সমাবেশ চলার সময়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কুশপুতুল দাহ করা হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।