খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশ স্থলে রাত থেকেই হাজির নেতাকর্মীরা

বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, মাহেন্দ্র, সিএনজি অটোরিকশা এমনকি লঞ্চ- ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেবার পরও গতকাল মধ্যরাত থেকেই খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বর কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে । পায়ে হেঁটে, মোটরসাইকেল ও ট্রেনে করে এবং রিজার্ভ করা ট্রলার নিয়ে এসব মানুষ গতকাল রাত হতে বিএনপির সমাবেশে আসতে শুরু করে। সকাল নয়টার আগেই খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বর কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে । রাতে এসব লোক খুলনার মসজিদে, কেউ রেলস্টেশনে বা পার্কে অবস্থান নিয়েছিল।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং চলমান আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত পাঁচ জনের হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় এই গণসমাবেশ। চট্টগ্রাম ও ময়ময়নসিংহে মহাসমাবেশের পর খুলনায় হচ্ছে তৃতীয় সমাবেশ।
খুলনায় সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই ঘোষণা দিয়ে বাস-লঞ্চ বন্ধ, সরকারি দলের শোডাউন, হকিস্টিক মহড়ার কারণে নানাভাবে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়। গতকাল রাতেও নগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সমাবেশে যোগ না দিতে হমকি দিয়ে পুলিশ হয়রানি করছে এমন অভিযোগ এসেছে বিএনপির পক্ষ থেকে। খুলনায় ৬০ জনকে আটক করার খবর দিয়েছে দলটি।
এদি আজ সকালে নগরীর রূপসা, জেলখানা খেয়া ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রলারে লোকজন পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রূপসা, নতুন রাস্তার মোড়, মিয়াপাড়া, শিববাড়ী, জিরো পয়েন্ট, লঞ্চ ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে অবস্থান নিয়েছে । এদিকে গতকাল রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে গণসমাবেশ স্থলে সিসি ক্যামেরা লাগাতে দেখা গেছে।