খুলনায় ৪২০০ পিপিই মজুদ, তাও রাতে হেলিকপ্টারে এল আরো ৫০০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বাড়ির বাইরে যাওয়া আইনগতভাবে নিষেধ করা হয়েছে। ফলে ১৬ লাখ জন অধ্যুষিত খুলনা মহানগরীতে অনেকটা সুনসান নীরবতা নেমে আসে। এই নীরব নগরীতে রাত ১০টার পর খুলনা সাকির্ট হাউসে একটি হেলিকপ্টার নামে। হঠাৎ নগরীতে এই হেলিকপ্টারের আগমনে করোনা পরিস্থিতিতে জরুরি কোনো বিষয় কি না, তা জানতে মানুষজনের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়।
জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিপিই নেই এমন বিভ্রান্তির কারণে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টারে করে ৫০০ পিপিই ঢাকা থেকে পাঠানো হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মেহেদী নেওয়াজ তা গ্রহণ করেন। অথচ খুলনা মেডিকেলে বর্তমানে চার হাজার ২০০ পিপিই মজুদ আছে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে খুলনা স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা.মেহেদী নেওয়াজ ঘটনার সত্যতা জানান। তিনি স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘খুলনায় যথেষ্ট পরিমাণ চার হাজার ২০০ পিপিই মজুদ থাকা সত্ত্বেও, সংবাদ বিভ্রান্তির কারণে আজ রাত ১০টায় ৫০০ পিপিই হেলিকপ্টারে বিএনএসবিতে এসে পৌঁছায়। আমি তখনই সেটা রিসিভি করি। এ মহুর্তে আমাদের কোনো ঘাটতি নাই। খুলনা করোনা হাসপাতাল একটা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। এরই মধ্যে ১০টি আইসিইউ বেডসহ ১০০ বেড প্রস্তুত আছে।’ তবে এই বিভ্রান্তিমূলক সংবাদটি কীভাবে ছড়াল, সে ব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এন টি এম মঞ্জুর মোর্শেদকে গত ৩১ মার্চ স্ট্যান্ড রিলিজ করে খুলনা থেকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে বদলি করা হয়। সাধারণ ছুটির মধ্যে এ বদলি নিয়ে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।