খুলনা ও বরিশালে দুজনের মৃত্যু, সন্দেহ করোনার

করোনাভাইরাস সন্দেহে খুলনা ও বরিশালে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে থাকা সুলতান শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খুমেক করোনা ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘গতকালই রোগীটি নড়াইলের কালিয়া থেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর জ্বর, শ্বাসকষ্ট, হাঁচি-কাশি, গলাব্যথা ছিল। তা ছাড়া তিনি আগে থেকেই যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিলেন।’
চিকিৎসক আরো বলেন, ‘মারা যাওয়া সুলতান শেখের নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হবে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট এলেই বলা যাবে, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না। আগামীকাল রিপোর্ট পাওয়া যাবে।’
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা চার রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে থাকা সেই রোগীদের একজন মারা গেছেন এবং তিনজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জনসহ মোট এক হাজার ৭৭৮ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখা হয়েছিল। ১৪ দিন মেয়াদ পূর্ণ করে ২৬৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানানো হয়েছে।
এদিকে, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জাকির হোসেন (৪৫) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ রোববার সকাল সোয়া ৭টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার গোহানগাছিয়া গ্রামে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, ‘পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রেফার করার পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ওই রোগীকে স্বজনরা এই হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রথমে তাঁকে মেডিসিন ইউনিটে এবং সেখান থেকে গত রাতেই করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।’
শেবাচিমের পরিচালক বলেন, ‘এই রোগীর মৃত্যুর পর বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুসারে মৃতদেহ সমাহিত করার ব্যবস্থা করা হবে। তাঁকে করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।’
মৃত জাকির হোসেনের শ্বশুর মুঠোফোনে জানান, তাঁর জামাই দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমাজনিত শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছিলেন।