খুলনা মেডিকেলে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরেকজনের মৃত্যু

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত মিজানুর রহমানের (৫২) বাড়ি খুলনার ফুলতলা উপজেলাযয় বলে জানিয়েছেন করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
মুখপাত্র জানান, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মিজানুর রহমানকে ভর্তি করা হয়। তিনি কিডনির রোগ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে, খুলনায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মেডিকেলে আসার পর মৃত্যু হওয়া নূর আলম খানের করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। এটিই খুলনায় করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু।
নূর আলমের মৃত্যুর পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে দেন। খুলনার রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নূর আলম পেশায় একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির প্রকৌশলী ছিলেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবদুল আহাদ বলেন, গতকাল সকাল পৌনে ৯টার দিকে নূর আলম খান নামের একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর স্বজনরা। কিন্তু তিনি হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন বলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুর রহমান নিশ্চিত করেছিলেন।
অধ্যক্ষ ডা. আবদুল আহাদ জানান, করোনার উপসর্গ ছিল এমন ১৮৯ রোগী ও দুজন মৃত ব্যক্তিসহ মোট ১৯১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয় খুলনা মেডিকেলে। তাঁদের মধ্যে শুধু নূর আলম খানের পজিটিভ এসেছে।
মৃতের স্বজনরা জানান, নূর আলম খান পাঁচ দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি মোবাইল ফোন কোম্পানির সার্ভিসিং ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন সরবরাহ করতেন। বাড়িতেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মঙ্গলবার হাসপাতালে আনার আগে বাথরুমে গিয়ে জ্ঞান হারান এবং খুলনা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।