গাজীপুরে স্ত্রীর যৌতুকের মামলায় এসআই শ্রীঘরে
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/10/31/gazipur.jpg)
গাজীপুরে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় জামিন নিতে এলে পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ফারুখ এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া এসআইয়ের নাম সফিকুল ইসলাম সরকার (৪৪)। তিনি মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তোফাজ্জল হোসাইন বলেন, এ মামলার বাদী কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের পাচুয়া এলাকার নুরুন নাহার সুলতানা (৩৯)। ২০০১ সালে তাঁকে বিয়ে করেন পুলিশের সদস্য সফিকুল ইসলাম সরকার। তাঁদের সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে। মেয়ে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। তিন বছর আগে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক দাবি করে আসছিলেন এসআই সফিকুল ইসলাম। যৌতুক দাবি নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যৌতুক দাবির ঘটনায় ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন নুরুন নাহার সুলতানা। পরে সমঝোতার শর্তে ওই মামলা প্রত্যাহার করতে বাদীকে বাধ্য করেন এসআই শফিকুল ইসলাম।
তোফাজ্জল হোসাইন জানান, মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর পুনরায় যৌতুক দাবি করে স্ত্রী নুরুন নাহারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন সফিকুল ইসলাম সরকার। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৮ জুলাই গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন নুরুন নাহার সুলতানা। আদালত মামলা আমলে নিয়ে সমন জারি করেন। এসআই শফিকুল ইসলাম ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি করেন আদালত। আজ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ফারুখের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন এসআই সফিকুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী নুরুন নাহার সুলতানা বলেন, ‘স্ত্রী সন্তান থাকা সত্ত্বেও আমার স্বামী সফিকুল ইসলাম না জানিয়ে গত জানুয়ারি মাসে একটি বিয়ে করেছেন। ওই স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কর্মস্থল এলাকায় বসবাস করেন। আর যৌতুকের জন্য আমাকে বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছি।’