গারো পাহাড়ে হাতির পায়ে পিষ্ট কৃষক

শেরপুরের গারো পাহাড়ে আবারও শুরু হয়েছে বন্যহাতির তাণ্ডব। গতকাল মঙ্গলবার কোনো এক সময় বন্যহাতির পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছেন নালিতাবাড়ী উপজেলার মায়াঘাসি গ্রামের কৃষক ছমেদ আলী (৬৫)। রাতে গ্রামবাসী কৃষক ছমেদ আলীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে। তাঁর বাড়ি গারোপাহাড়ের মায়াঘাসি গ্রামেই।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, বৃদ্ধ ছমেদ আলী গরুর জন্য ঘাস কাটতে পাহাড়ে যান। ওই এলাকায় আগে থেকেই একটি বন্যহাতির পাল চড়ছিল। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় গ্রামবাসী তাঁকে খুঁজতে বের হন। রাত ৯টার দিকে পাহাড়ের ঢালুতে তার থেঁতলানো মরদেহ দেখতে পান তারা। শরীরে আঘাতের ধরন দেখে এলাকাবাসী নিশ্চিত হয়, বন্যহাতির পালের পায়ের তলায় পিষ্ট হয়েই মারা গেছেন তিনি।
খবর পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খোকা ঘটনাস্থলে যান। তারাও নিশ্চিত করেন—হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট হয়েই ছমেদ আলী মারা গেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খোকা বলেন, ‘প্রতি বছরই হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে লোকজন মারা যাচ্ছে। কিন্তু, তাদের রক্ষায় কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
শেরপুরের সহকারী বনসংরক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, ‘২০২১ সালের সংশোধিত আইনে বন্যপ্রাণী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত নিহত ও আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের জন্য তিন লাখ এবং আহতদের জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার বিধান রয়েছে। সে হিসেবে মায়াঘাসিতে নিহত কৃষকের পরিবার আবেদন করলে একটি কমিটির মাধ্যমে অনুদান দেওয়া যাবে।’