গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার, আটক ১
গোপালগঞ্জে রিক্তা খাতুন নামে এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী একই বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র রাসেল মিয়াকে (২৫) আটক করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের নবীনবাগ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে রিক্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রিক্তা খাতুন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ডু উপজেলার ভালকি গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। আটক রাসের মিয়া ওই ছাত্রীর স্বামী এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
রাসেল মিয়া জানান, গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভালোবেসে পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তাঁরা। এরপর গোপালগঞ্জ শহরের নবীনবাগ এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন।
এই যুবক বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে অন্য একটি মেয়ে আমার মুঠোফোনে ম্যাসেজ ও ফোন দিয়ে বিরক্ত করে। বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে স্ত্রী রিক্তার ভুল বোঝাবুঝি হয়। কিন্তু, আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে গেট খুলে বাসায় প্রবেশ করে দেখি আমার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তখন আমি তাঁর ফাঁস খুলে নিচে নামাই।’
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’
এসআই রাসেল আহমেদ আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামীর সঙ্গে অন্য মেয়ের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে—এটা আত্মহত্যা না কি হত্যা?’