বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে কথিত বন্ধুকযুদ্ধে মো. আদহাম (৩০) নামের এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় একনলা বন্দুক, দুটি কার্তুজ এবং ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানায় বিজিবি।

তুমব্রু কোনাপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের আদহাম ইয়াবাকারবারী ছিলেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়। আজ বুধবার ভোরে সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলারের সন্নিকটে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনার ৮২ দিন পর এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটল।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমঘুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে বিপুল ইয়াবা আসার খবর পেয়ে বিজিবি সেখানে অবস্থান নেয়। এ সময় ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল মিয়ানমার থেকে আসতে দেখে বিজিবি তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে ইয়াবা কারবারিরা টহল দলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ শুরু করে। টহল দল আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। তখন অজ্ঞাতনামা ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে পালিয়ে যায়। পরে টহল দল ঘটনাস্থল থেকে উক্ত রোহিঙ্গাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইয়াবা ও দেশীয় একনলা বন্দুকসহ উদ্ধার করে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক জানিয়েছেন।