চবির হলে ইতালিফেরত যুবক, কোয়ারেন্টিনে ছয়জন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হল থেকে ইতালিফেরত এক যুবকসহ ছয় শিক্ষার্থীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে শহীদ আবদুর রব হলের ৩২০ নম্বর কক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রাম ফৌজদারহাট আইসোলেশন সেন্টারে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। তাঁরা তিন দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কোয়ারেন্টিনে পাঠানো ছয়জন হলেন—ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ইতালিফেরত দস্তগীর হোসাইন মাহফুজ, সদরের বাসিন্দা সিরাজাম মুনির দুর্জয়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের (কুমেক) শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ও ইব্রাহিম খলিল এবং হলের ৩২০ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী শাহনেওয়াজ রানা ও একই বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের জয়।
চবির উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ওই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবির পলাশ বলেন, ইতালিফেরত এক প্রবাসীসহ বহিরাগতদের হলে অবস্থানের কথা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁদের যাচাই করা হবে। আর যে শিক্ষার্থী তাঁদের হলে এনেছে, তাঁর বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মার্চ ইতালি থেকে ফেরেন দস্তগীর হোসাইন মাহফুজ নামের ওই যুবক। বিমানবন্দরে কোনো চেকআপ না করিয়ে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তিনি। সঙ্গে আসেন নিজ এলাকার বন্ধুরা। তাঁরা রাঙামাটির সাজেক ভ্রমণের জন্যই মূলত এখানে এসেছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুর রব হলের ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন তাঁরা।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সবাইকে সতর্ক ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।