চাঁদপুরে শান্ত্বনা ‘হত্যাকাণ্ডের’ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

চাঁদপুর সদর উপজেলায় শান্ত্বনা ‘হত্যাকাণ্ডের’ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়ালিকান্দি এলাকায় গতকাল সোমবার সকালে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শান্ত্বনার মা-বাবা দাবি করেন, শান্ত্বনার স্বামী ফয়সাল যৌতুকের জন্য তাঁর মেয়েকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখেন।
নিহত শান্ত্বনা কুড়ালিকান্দি গ্রামের রহিম বাদশার মেয়ে।
পরিবারের দাবি, আড়াই মাস আগে পারিবারিকভাবে শান্ত্বনার সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা ফয়সালের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শান্ত্বনা তাঁর বাবার বাড়িতেই থাকতেন। অন্যদিকে, ফয়সাল নিয়মিত শান্ত্বনাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ফয়সাল ও তাঁর পরিবার যৌতুকের জন্য শান্ত্বনাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
গত ১৩ জানুয়ারি সকালে শান্ত্বনা ও তাঁর স্বামী ফয়সালকে ঘরে রেখে কাজের জন্য বাইরে যান মা-বাবা। দুপুর ১২টার দিকে শান্ত্বনার ছোটো বোন স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে দেখে, ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শান্ত্বনার লাশ ঝুলছে। শান্ত্বনার স্বামী ফয়সালকে তখন বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এ সময় শান্ত্বনার বোনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
শান্ত্বনার মা-বাবার দাবি, যৌতুকের জন্য ফয়সাল শান্ত্বনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। পরে খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ শান্ত্বনার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে শান্ত্বনার বাবা রহিম বাদশা বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। বর্তমানে এই মামলায় শান্ত্বনার স্বামী ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারকাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে শান্ত্বনার পরিবার।