চুয়াডাঙ্গায় প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/09/09/chuadanga-murder-pic.jpg)
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন যাদবপুরে প্রবাসীর স্ত্রী জেসমিন ওরফে আয়না বেগমকে (৩৮) চেতনানাশক খাওয়ানোর পর গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আবু তারেক এ দাবি করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার সময় তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় প্রধান আসামি মামুন (২৭), তার ভাগ্নে রাব্বীকে (১৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুজ্জামান, গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক লুৎফুল কবীরসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় নিহত আয়নার ভাই আব্দুর রউফ বাদী হয়ে মামুন ও রাব্বী নামে দুজনসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় মূল আসামি মামুন ও তার ভাগ্নে রাব্বীকে প্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আসামি মামুনের স্বীকারোক্তিতে নিহত আয়নার বাড়ি থেকে একটি ধারালো ছুরি, রক্তমাখা স্যান্ডেল, পাঁচটি চেতনানাশক ট্যাবলেটের খালি পাতা, পাঁচটি গ্লাস এবং আসামি মামুনের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত লুঙ্গি ও চারটি মোবাইল ফোন, একটি ট্যাব জব্দ করেছে পুলিশ। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে—সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুজ্জামান জানান, হত্যার ঘটনায় মূল আসামি মামুনকে ১৬৪ ধারায় স্কীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হবে। উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামানকে এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন যাদবপুর গ্রাম থেকে জেসমিন ওরফে আয়না বেগম (৩৮) নামে ওই গৃহবধূর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কুয়েত প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিলের স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী ছিলেন।