চুয়াডাঙ্গায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি : কর্তৃপক্ষকে দায়ী করল পুলিশ

চুয়াডাঙ্গায় সোনালী ব্যাংকের উথলী শাখায় দিনে-দুপুরে ডাকাতির ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন খুলনা রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম। শিগগিরই লুট হওয়া অর্থ উদ্ধারসহ দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি গতকাল রোববার রাতে জীবননগর উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের উথলী শাখা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল ও জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল রোববার দুপুরে হেলমেট ও পিপিই পরা তিন দুর্বৃত্ত ব্যাংকে ঢুকে কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরাপত্তাকর্মী ও দুজন গ্রাহককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আট লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিক রোববার রাতে জীবননগর থানায় মামলা করলেও পুলিশ আজ সোমবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এদিকে, আজ দুপুরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তদল ব্যাংক পরিদর্শন করেছে।
ব্যাংকের প্রহরী আশরাফুল ইসলাম গতকাল জানান, দুপুর আনুমানিক ১টা ১৫ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলে করে তিনজন ব্যাংকের ভিতরে প্রবেশ করেন। তাঁদের সবার মুখে মাস্ক ও মাথায় হেলমেট ছিল। ব্যাংকে ঢোকার দুই মিনিট পরই তাঁরা পিস্তল বের করে ব্যাংকের ম্যানেজারসহ সব কর্মকর্তাকে জিম্মি করে ফেলেন। এরপর ক্যাশে থাকা টাকা লুট করে নিয়ে পালিয়ে যান।
ব্যাংকের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ব্যাংকে প্রবেশের পর পরই ডাকাত সদস্যরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এরপর তাঁরা ক্যাশিয়ারের ডেস্কে থাকা আট লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা লুট করে পালিয়ে যান।
এদিকে, ব্যাংক ডাকাতির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিম লিংকন, উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, দিন-দুপুরে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা দুঃখজনক। এমন ঘটনা নেতিবাচক বার্তা দেবে। তবে ব্যাংকে সিসি ক্যামেরা না থাকায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখায় সিসি ক্যামরা নেই, এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এখানে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও অবহেলা রয়েছে।
তবে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অভিযুক্ত ডাকাত সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ সুপার।