জীবন বাজি রেখে করোনায় সুরক্ষা দিচ্ছে দিনাজপুরের পুলিশ

পুলিশ প্রশাসন নিজের জীবন বাজি রেখে দিনাজপুরবাসীকে সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। রাত দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ বিভাগের সদস্যরা।
গত ১৪ এপ্রিল দিনাজপুরে প্রথম সাতজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পর দিনাজপুরে পুলিশ প্রশাসন মাইকিং ও প্রচারপত্র বিতরণ দিয়ে শুরু করে করোনা-যুদ্ধ। রাজপথে জীবাণুনাশক ছিঁটানো, ত্রাণ বিতরণ, বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের অসন্তোষ থামানো, ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধকারীদের বুঝিয়ে তা প্রত্যাহার, হোম কোয়ারেন্টিন বাস্তবায়ন এবং চেকপোস্ট স্থাপনসহ মানবিক সাহায্য দিয়ে আসছে।
এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ধান কাটা শ্রমিকদের পাঠানো, বাড়ির মালিক যখন ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন সেখানেও পুলিশকে গিয়ে ভাড়াটিয়াকে বাড়িতে উঠিয়ে দিতে হচ্ছে। এমন কোনো কাজ নেই যেখানে পুলিশের হস্তক্ষেপ নেই। করোনাভাইরাসের পর অবিরামভাবে ২৪ ঘণ্টাই পুলিশকে কাজ করতে হচ্ছে। সবাই যখন ঘুমিয়ে তখন পুলিশ রাত জেগে দায়িত্ব পালন করছে।
ঝড়-বৃষ্টি থেকে শুরু করে বিভিন্ন উৎসবে ছুটি না কাটিয়ে দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে তারা।
দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বখসি বাচ্চু বলেছেন, ‘চিকিৎসক-পুলিশ এবং সাংবাদিকরা যেভাবে করোনাযুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের অবদান অসামান্য। বিশেষ করে পুলিশ যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে এতে করে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। পুলিশ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।’
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ড. আব্দুল কুদ্দুছ বলেছেন, ‘পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশনসহ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তারা কাজ করে যাচ্ছে।’
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘পুলিশ সদস্যরা প্রাণ হাতে নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করে যাবে। দায়িত্ব পালন থেকে তারা পিছপা হবে না।’