টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘রোহিঙ্গা ডাকাত’ নিহত

দ্বিতীয় দফায় ২১ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণের ১২ ঘণ্টার মাথায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইলিয়াছ (৪০) নামের এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফ জাদিমোরা রোহিঙ্গা শিবিরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে র্যাব।
র্যাব-১৫-এর টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মীর্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, নিহত মো. ইলিয়াছ ওরফে ডাকাত ইলিয়াছ টেকনাফ ২৬ নম্বর ক্যাম্পের ডি-ব্লকের বাসিন্দা। সে বিভিন্ন সময় এই এলাকায় ডাকাতি করত।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি থ্রি-কোয়ার্টার গান, একটি ওয়ান শুটারগান ও চারটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান মীর্জা মাহতাব।
কোম্পানি কমান্ডার মীর্জা শাহেদ মাহতাব জানান, গতকাল সোমবার রাতে র্যাবের একটি দল উপজেলার জাদিমোরা রোহিঙ্গা শিবিরে ডাকাত জকিরকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের সঙ্গে ডাকাতদের গুলিবিনিময় হয়। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ইলিয়াছ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় র্যাবের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা।
সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বাকবিতন্ডায় ডাকাত জকির গ্রুপের এলোপাতাড়ি গুলিতে ১৪ রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়।
এদিকে এ গোলাগুলির ঘটনার ১২ ঘণ্টা আগে টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় দফায় ২১ ইয়াবা ও হুন্ডি কারবারি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এ সময় ২১ হাজার ইয়াবা, ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩০টি কার্তুজ জমা দেয় তারা। এ ঘটনার তিন ঘণ্টা পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি ও ১২ ঘণ্টা পার না হতেই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পৃথক আইনে মামলা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন র্যাব কর্মকর্তা মীর্জা শাহেদ মাহতাব।