ডিএনসিসির সব মার্কেট ও বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে : মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার প্রতিটি বস্তি ও মার্কেটে বসানো হবে ফায়ার হাইডেন্ট্র। আগুন নেভাতে এসব ফায়ার হাইড্রেন্ট কাজে দেবে। ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী সাততলা বস্তিতে সমন্বিত কমিউনিটি অগ্নিনির্বাপক ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় ফায়ার হাইড্রেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ্য জানান।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০২১ সালে যখন সাততলা বস্তিতে আগুন লাগে তখন আমি বলেছিলাম, এখানে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে। যেকোনো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে। আগে আমরা কোনো বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে পারিনি। সাততলা বস্তি দিয়ে শুরু করলাম। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিতেও বসানো হবে।’
ফায়ার হাইড্রেন্টে ৬০ হাজার লিটার পানি থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘এই পানি অন্তত ৪০ মিনিটের জন্য ফায়ার সেফটি করতে পারবে। ৪০ মিনিট যদি আমরা টিকে থাকতে পারি, আর রাস্তা যদি খালি থাকে তাহলে কোনো ক্ষতি হবে না। সাততলা বস্তি ফায়ার সেফটির জন্য একটি মডেল। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তি গুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘জনবসতিপূর্ণ জায়গায় ফায়ার হাইড্রেন্ট লাগবে, ফায়ারড্রিল লাগবে। আগুন লাগলে কারা ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহার করবে সেই ভলান্টিয়ার লাগবে। আমরা সাততলা বস্তিতে ১৭ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এই ১৭ জন স্বেচ্ছাসেবক এটি ব্যবহার করবে। তারা অন্যদের শিখিয়ে দেবে।’
ডিএনসিসির আওতাধীন মার্কেটগুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্টসহ সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মহাখালী কাঁচাবাজারকে মডেল হিসেবে নির্মাণ করা হবে। এর আলোকে অন্য সব মার্কেটে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।’
আগুন লাগলে মোবাইলে সেলফি না তুলে রাস্তা খালি করার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘মেহেরবানি করে আগুন যখন লাগে, তখন সেলফি তোলার দরকার নেই। আপনাদের কাজ হচ্ছে, রাস্তা খালি করে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকর্মীদের কাজ করতে দেওয়া।’
শহরে খাল জলাশয় দখল হয়ে গেছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘যখন আগুন লাগে তখন পানি তো নেই। পানি নেই, পানি নেই—হাহাকার। কারবালার প্রান্তর হয়ে গেছে। আমাদের খাল, জলাশয় দখল করে বিল্ডিং করা হয়েছে। তাই পানি নেই। জলাধার ও মাঠ বাড়াতে হবে, গাছ লাগাতে হবে। খালে পানি থাকলে, বেশি গাছ থাকলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মাঠ থাকলে বাচ্চাদের খেলার সুযোগ হবে।’