তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা, চার মাস পর লাশ উদ্ধার

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় নিখোঁজের প্রায় চার মাস পর সালমা সুলতানা (২৭) নামের এক তরুণীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রাম থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মোতালেব কাজী (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পলাশতলী গ্রামের বাসিন্দা।
ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সালমার বড় ভাই হাবিবুল্লাহ তাঁর বোন নিখোঁজ হয়েছে মর্মে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ফুলবাড়ীয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি নিখোঁজ হন সালমা।
পুলিশ জানায়, মোতালেব কাজীকে আজ সকালে থানায় ডেকে আনে পুলিশ। তিনি আবোল-তাবোল বললে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে তাঁকে পুলিশ সুপার আহামার উজ্জামানের কাছে নেওয়া হয়। পরে যৌথ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর কথামতো নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর গ্রাম পলাশতলীতে। সেখানে গিয়েও তিনি আবোল-তাবোল বলছিলেন। অবশেষে যেখানে তরুণীর লাশ ছিল, তা দেখিয়ে দেন তিনি।
নিখোঁজ সালমা উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের কচুয়ারপাড় এলাকার নবীতুল্লাহর মেয়ে। তিনি বিএ পাস করে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন। এই সূত্রেই তাঁর সঙ্গে মোতালেব কাজীর পরিচয় হয়। তারপর মন দেওয়া-নেওয়া।
গত ২৫ জানুয়ারি তাঁরা দেখা করার জন্য ময়মনসিংহে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া শেষে তাঁদের বিয়ের কথাবার্তা হয়। মোতালেব কাজী পরে সালমাকে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তাব দিলে সালমা তাতে আপত্তি জানান। রাতের বেলায় নিয়ে আসেন পলাশতলী গ্রামে। সেখানে নির্জন স্থানে সালমাকে ধর্ষণ করে গলা টিপে হত্যা করেন মোতালেব কাজী। পরে পাশেই জয়নাল আবেদীনের পুকুরপাড়ে ভাঙা বাথরুমের গর্তে পুতে রাখেন।
ঘটনার পর পর মোতালেব কাজী ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে একটি সিম কার্ড কিনেন। যে আইডি ব্যবহার করে সিমকার্ড কিনেছিলেন মোতালেব, পরবর্তী সময়ে সেই আইডি কার্ডধারীকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য পায় পুলিশ। সেই সূত্রেই ধরা পড়েন মোতালেব কাজী।