দেশে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৩১৪ জন

এখন পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলায় দুই হাজার ৩১৪ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআরের সভাকক্ষে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আজ সকাল পর্যন্ত সিভিল সার্জনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন দুই হাজার ৩১৪ জন। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা সবাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা। হোম কোয়ারেন্টিনে যাঁরা আছেন, তাঁদের আমাদের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের সহযোগিতা করবে। যদি কেউ আমাদের নির্দেশনা না মেনে চলেন, তাহলে আমাদের আরো কঠোর হতে হবে।’
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আইইডিসিআরের হটলাইনে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট কল এসেছে তিন হাজার ৭০৬টি। এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৭৭৩টি কল আমরা পেয়েছি। এই তিন হাজার ৭০৬ কলের মধ্যে তিন হাজার ৬৭১টি কলই কোভিড সংক্রান্ত। আইইডিসিআরের সেবার জন্য এসেছেন ৬৩ জন।’
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আপনারা সরাসরি আইইডিসিআরে চলে আসবেন না। এখানে চলে এলে আপনাদের মধ্যে যদি কেউ কোভিড আক্রান্ত থাকে, তাহলে কিন্তু আপনার মাধ্যমে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারে। এবং আপনারা যে পথ বা গণপরিবহনের মাধ্যমে আসবেন, সেখান থেকেও কিন্তু অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা কিন্তু আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। আমরা এই সেবাটা চালু রেখেছি আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য। আপনারা যদি কথা না শোনেন, তাহলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।’
‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। সর্বমোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ২৩১ জন। এ মুহূর্তে আইসোলেশনে আছেন ১০ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন চারজন। এখন পর্যন্ত আমরা যে ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি, তার মধ্যে মোট পাঁচজনের ভেতরে কোভিড সংক্রমণ পেয়েছি।’
‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা দুজনের মধ্যে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছে। এ দুজনের ভেতরে একজনের বয়স ২৯ বছর। তিনি পুরুষ। আর একজনের বয়স ৪০ বছরের বেশি। তিনিও পুরুষ। তাঁর ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। একজন এসেছিলেন জার্মানি থেকে। আর একজন ইতালি থেকে এসেছেন। দুজন রোগীই ইমপোর্টেড রোগী! দুজনেরই জ্বর এবং কাশি ছিল। তাঁদের হাসপাতালে রেখেছি। এ মুহূর্তে তাঁদের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। এ ছাড়া আগের যে তিনজন রোগী, তাঁদের ভেতরে দুজন ভালো হয়েছিল। তাঁদের ভেতরে একজন রোগীর পরপরই দুটি টেস্ট নেগেটিভ হয়েছে। তারা তিনজনই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।’