দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার পরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে বিমান বাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর চিকিৎসা চলবে।

এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ফজলে হোসেন বাদশার দেহে করোনা শনাক্ত হয়। রাত ৯টার দিকে তাঁকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের একটি কেবিনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফজলে হোসেন বাদশা গত ৮ এপ্রিল করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেন। গতকাল বুধবার শরীরে জ্বর অনুভব করায় তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। সন্ধ্যায় করোনার পজিটিভ রিপোর্ট আসায় রাতেই তাঁকে হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি করা হয়।

রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা গত ৭ ফেব্রুয়ারি ও গত ৮ এপ্রিল করোনাভাইরাসের দুটি ডোজের টিকা নেন। ছবি : সংগৃহীত

সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশার চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমানকে প্রধান করে ১৪ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান জানান, শুরু থেকেই চিকিৎসার আওতায় এলে করোনায় মৃত্যু ঝুঁকি কমানো সম্ভব। সাংসদ হিসেবে ফজলে হোসেন বাদশার যেহেতু উন্নত চিকিৎসার সুযোগ আছে, সেহেতু তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য আমরা বলেছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের সচেতনতার জন্য কাজ করেছেন সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। সাধারণ মানুষের জন্য মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে নেমে পড়েছিলেন রাজশাহীর রাস্তায়। লকডাউন চলাকালে দিয়েছেন খাদ্য সহায়তাও। তাঁর প্রচেষ্টায় রাজশাহীতে চালু হয় করোনার নমুনা পরীক্ষার দুটি ল্যাব।

দেশে করোনার গণটিকা কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনই ৭ ফেব্রুয়ারি ফজলে হোসেন বাদশা রামেক হাসপাতালে গিয়ে টিকা নেন। তিনিই রাজশাহীতে প্রথম টিকা গ্রহণ করে এর উদ্বোধন করেন। সেদিন তিনি সবাইকে টিকা নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। গত ৮ এপ্রিল তিনি করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেন। এর ছয়দিন পর তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ল।