নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : সোহাগ, রাসেল ও সাজু রিমান্ডে

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (৩ নম্বর আমলি আদালত) বিচারক মাসফিকুল হক আসামি সাজু, আনোয়ার হোসেন সোহাগ ও নুর হোসেন রাসেলের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আদালত শুনানি শেষে ৫ নম্বর আসামি সাজুকে দুই মামলায় তিন দিন করে মোট ছয় দিন এবং সন্দেহভাজন আসামি আনোয়ার হোসেন সোহাগ ও নূর হোসেন রাসেলকে পর্নোগ্রাফি মামলায় তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।‘

এ নিয়ে আলোচিত এ ঘটনায় মোট সাতজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আর গ্রেপ্তার করা হয়েছে নয়জনকে। সবশেষ আজ ভোরে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে মামলার আসামি কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তাঁর স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন দেলোয়ার বাহিনীর বাদলসহ অন্যরা। এরপর তাঁরা গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তাঁরা গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ফোনে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে গত রোববার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। সেখানে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো সাত-আটজনকে আসামি করা হয়। তাঁদের সবার বাড়ি বেগমগঞ্জে। তাঁরা সবাই একলাশপুরের দেলোয়ার বাহিনীর সদস্য।