পাবনায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও ভেতরে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলা এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পাবনায় তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে পাবনা শহরে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
এদিন বিএনপির খেয়াঘাটস্থ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। শহরের আব্দুল হামিদ রোডসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড় বাজারের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নেতাকর্মীরা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচালের জন্য সরকার ও সরকারের পুলিশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে হামলা চালিয়েছে। শত শত নেতাকর্মীদের বুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে। নেতাকর্মীদের হতাহত করেছে। পাবনার গণমানুষের নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।’
নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার ও হামলা করে আন্দোলনকে দমান যাবে না। মানুষ এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে ফেলেছে। মানুষ রাস্তায় নেমেছে, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না। অবিলম্বে শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। তাদের মুক্তি ও সরকারের পতনে যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, আমরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও সেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব।’
পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান মাস্টার, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এ কে এম মুসা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেহানুল ইসলাম বুলাল, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রিন্সসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
শিমুল বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাসুম মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ মাসুম বগা। রাত সাড়ে আটটার দিকে আওয়ামী লীগও এক বিশাল মিছিল বের করে।