পাবনায় করোনা ও উপসর্গে সাতজনের মৃত্যু, শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড
গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু এবং ৩৪৮ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। এরমধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলাতেই ২২৫ জন।
আজ শুক্রবার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী বলেন, করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন তিনজন মারা গেছে। বাকি একজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৪৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪৮ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছয় হাজার ৩৪৩ জন। মারা গেছে ২৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে চার হাজার জন। এখনও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে এক হাজার ৩০০ জন।
মৃতরা হলেন পাবনার আমিনপুন থানার চরগোবিন্দপুর এলাকার জামাল আহমেদ (৮০), আমিনপুর থানার তালিমনগর মহল্লার হুমায়ুন আহমেদ (৬৫) এবং পাবনা সদরের রাঘবপুর অঞ্চলের শাহিদা আক্তার (৫২)। এ ছাড়াও করোনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ব্যক্তি পাবনার সুজানগর উপজেলার হামিদুল ইসলাম (৬৫)।
করোনার উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন পাবনা শহরের দিলালপুর ফায়ার ব্রিগেড এলাকার আসাদ জান চৌধুরী (৫০), শহরের কফিলুদ্দিনপাড়ার মায়া বুঝি (৭৬) এবং আটঘরিয়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মহসিন আলী সরদার (৬৭)।
পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কে এম আবু জাফর বলেন, জনসাধারণের মধ্যে পুরোপুরি সচেতনতা না আসা পর্যন্ত করোনার বিস্তার রোধ করা সম্ভব নয়। হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালু না হওয়ায় করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের নিজেদের পিসিআর ল্যাব না থাকায় অন্য জেলায় পাঠাতে হচ্ছে নমুনা। সেখানে অতিরিক্ত চাপের কারণে এই রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। তবে পাবনা মেডিকেল কলেজে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।