পোশাক কারখানারকর্মীর যদি করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে কর্তৃপক্ষ যেন তাঁর বেতনসহ ছুটির ব্যবস্থা করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া ওই কর্মী কোয়ারেন্টিনে আছেন কি না, তাও নিশ্চিত করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে  সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ আহ্বান জানান।

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘বেতনে ছুটির ব্যবস্থা না করলে গার্মেন্টস শ্রমিক লক্ষণগুলো গোপন করবে। এতে অন্য শ্রমিকের ক্ষতি হবে।’ তিনি জানান, দেশে আরো দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে পরীক্ষা করার পর এ দুজনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে।

ডা. ফ্লোরা জানান, নতুন করে যে দুজন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা পুরুষ। একজন ইতালি থেকে এসেছেন, আরেকজন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীর স্বজন। একজন ছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে, আরেকজন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি একজন আক্রান্তের সংস্পর্শে থেকে সংক্রামিত হয়েছেন।

আইইডিসিআরের পরিচালক জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ১৬ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৩ জন। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সবাইকে সচেতন হতে হবে।