ফরিদপুরের মহাসমাবেশে মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে : আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ফরিদপুর জেগেছে, ফরিদপুর বার্তা দিয়েছে। এই মাঠের বাইরেও একটি বিশাল অংশ জনতা রয়েছে। আজকের মহাসমাবেশে মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশালে সমাবেশ হয়েছে। ফরিদপুর থেকে আজকে বার্তা দিয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা আগামীদিনে আন্দোলন কেমন হবে- এর বার্তা দিয়েছে।
ফরিদপুরে আজ শনিবার বিকেলে আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউট চত্বরে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে বেলা ১১টায় ফরিদপুর গণসমাবেশ শুরু হয়। কোরআন তেলওয়াত করেন ফরিদপুর ওলামা দল আহ্বায়ক হাফেজ মওলানা কবির হোসেন। গণসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আমীর খসরু বলেন আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ফলাফল কি হবে তার বার্তা আজকে আপনারা (বিএনপি নেতাকর্মীরা) দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ অনেক চেষ্টা করেছে, বাধা নিয়ে এই সমাবেশ ঠেকাতে। বাস, টেম্পু সব বন্ধ করেও মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার ঠেকাতে পারেনি। ৬ জন সহকর্মী জীবন দিয়েছে ইতোমধ্যে। ৩৫ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। তারপরও এখানে এসেছেন আপনারা।
আওয়ামী লীগও এখন সমাবেশ করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, গতকাল একটা সমাবেশ করেছে। শুধু যুবলীগ নয়, যত লীগ আছে সবাইকে নিয়ে আসছে। তাদেরও অভাব আছে, একদিক দিয়ে ঢুকছে, আরেক দিক দিয়ে দেওয়াল টপকে বেরিয়ে গেছে। এই জনতা সেই জনতা এক নয়। এই জনতা শেষ পর্যন্ত থাকবে। এখানে কাউকে ৫০০ টাকা দিয়ে আনা হয়নি। ফরিদপুরে আপনারা যা দেখিয়েছেন, ফরিদপুর আগামীদিনের আন্দোলনে ভূমিকা রাখবে।
আমীর খসরু বলেন, আলোকিত বাংলাদেশ, রূপান্তরিত বাংলাদেশ কেমন হবে, আগামীদিনে আমরা এই আন্দোলনের মাধ্যমেই তুলে ধরবো। একটি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ তারেক রহমানের নেতৃত্বেই হবে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় থাকবে।
আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আজ শনিবার দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টায় শুরু হয়।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন, দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যার বিচার, দলের চেয়ারপারসনের নিঃশর্ত মুক্তি ও দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনাসহ নয়টি দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ষষ্ঠ গণসমাবেশ এটি।
আগের ৫টি গণসমাবেশের মতো ফরিদপুরকেও গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। চলছে গণপরিবহণ ধর্মঘট। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিআরটিসি বাসও চলছে না এখানে। সব বাধা উপেক্ষা করেই আরেকটি বিশাল শোডাউন করতে যাচ্ছে বিএনপি। এখন পর্যন্ত প্রথম পাঁচটি জনসভা সফলভাবে শেষ করেছে দলটি। আশেপাশের জেলাগুলো থেকে দুদিন আগেও অনেক নেতাকর্মী চলে এসেছেন সমাবেশস্থলে। ধর্মঘটের কারণে, যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।