বাগেরহাটে ইমামের দেহে করোনা শনাক্ত

খুলনা বিভাগে আজ মঙ্গলবার ৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁর বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায়।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ চিতলমারীর পাটরপাড়া গ্রামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওই বাড়িতে গিয়ে বাড়িটি লকডাউন করে দেন। ইউপি চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন এ কথা জানিয়েছেন।
ওই রোগীর প্রতিবেশীরা জানান, ওই ব্যক্তির বয়স ৩৩ থেকে ৩৫ বছর হতে পারে। তিনি মাদারীপুরের একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। পাঁচ থেকে ছয় দিন আগে তিনি চিতলমারীতে এসেছেন। তাঁর খুসখুসে কাশির উপসর্গ থাকায় করোনা টেস্ট করা হয়। তিনি এখন বাড়িতে আছেন। সেখানেই তাঁকে কয়েক দিন আগে থেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তবে ওই ইমামকে এখন পর্যন্ত কেউই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়ার চেষ্টা করেনি।
এ ব্যাপারে চিতলমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত ১১ এপ্রিল থেকে ওই ইমাম সাহেবকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত ইমাম সাহেবের অসুস্থতা তেমন জটিল নয় বলে মনে হয়েছে। মঙ্গলবার ইউএনও, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, থানার ওসি ও তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে শুধু ওই বাড়িটি লকডাউন করে দিয়ে এসেছেন। পরে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত খুমেকে ২৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনায় একজন, বাগেরহাটে একজন, নড়াইলে একজন ও যশোরে একজন করে শনাক্ত হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার কেউই বিষয়টি স্বীকার করেননি। এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাও ফোন রিসিভ করছেন না।