করোনা সংকটকে কেন্দ্র করে লকডাউনে অর্থ সংগ্রহ করতে না পারায় দেড় বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সুলতান গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান। ফলে তাঁর ধান ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। খবর পেয়ে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে শাকিবুল ইসলাম রানা কয়েকজন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে হাফিজুরের ক্ষেতের ধান কেটে দেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে উপজেলার ১২ জন ছাত্রলীগকর্মী আজ রোববার সকাল থেকে কৃষক হাফিজুর রহমানের দেড় বিঘা জমির ধান কেটে বাড়িতে তুলে দেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এলাকার লোকজন। তারা প্রশংসা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।

কৃষক হাফিজুর রহমান জানান, লকডাউনের মধ্যে ধান কাটার উপযুক্ত সময় হওয়া সত্ত্বেও অর্থ ও শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান কাটতে পারছিলাম না। এ ছাড়া এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায়, তাদের মজুরি খুব বেশি। ফলে ক্ষেতে ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম। আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগ নেতা শাকিবুল ইসলাম রানা আরও কয়েকজন নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এসে টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার দেড় বিঘা ক্ষেতের ধান কেটে দেন। আমি তাদের এ সাহায্যের কথা কখনো ভুলব না।

ছাত্রলীগের নেতা শাকিবুল ইসলাম রানা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও আমাদের প্রিয় নেতা বাঘা-চারঘাট আসনের এমপি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের অনুপ্রেরণায় অসহায় ও দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। কৃষক হাফিজুর রহমান দেড় বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে না পেরে বিপাকে পড়েন। তাঁর অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগের জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এ ধান কেটে দিয়েছি। এ সংকটকালে প্রয়োজনে খবর পেলে এমন আরও অসহায়দের ধান কেটে দেব আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।