বিডিএসকে গ্যাংয়ের প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৮
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/01/29/rab.jpg)
রাজধানী আদাবরের ব্রেভ ডেঞ্জার স্ট্রং কিং (বিডিএসকে) নামে সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রধান শ্রীনাথ মণ্ডল ওরফে হৃদয়সহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে ফরিদপুর, রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ স্টেশন ও মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আজ রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তার অন্যান্যরা হলেন—রবিন ইসলাম (২০), মো. রাসেল (২৫), আলামিন (২১), নোমান (২১), আশিক (১৯), জোবায়ের ইসলাম (১৯) ও সুমন (২০)।
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি চাপাতি, একটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, চারটি বড় ও ছোট চাকু, দুটি হাঁসুয়া, একটি কাঁচি ও একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে রাজধানীর আদাবর থানাধীন তিন রাস্তার মোড় এলাকায় একজনকে জখম করে তার কাছে থাকা মোবাইলফোন ও নগদ অর্থ ছিনতাইকারীরা নিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কিছুদিন আগে একই এলাকার এক কলেজ শিক্ষার্থীর নিকট থেকেও একই কায়দায় ছিনতাইকারীরা মোটা অংকের অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। র্যাব ঘটনার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। যেখানে দেখা যায়, ৮ থেকে ১০ জনের একটি গ্যাং ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম চালিয়ে জানতে পারে, বিডিএসকে গ্রুপের প্রধান হিটার হৃদয়ের নেতৃত্বে ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে। পরে র্যাব অভিযান চালিয়ে করে গত রাতে আটজনকে আইনের আওতায় আনা হয়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তারা বিভিন্ন সময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তারা মাদক সেবনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা রাস্তাঘাটে ইভটিজিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রীতিকর ভিডিও শেয়ারসহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। তাদের অধিকাংশের নামে মাদক, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারিসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।