বিদ্যুৎ না থাকায় ময়মনসিংহে করোনা পরীক্ষা ব্যাহত

ময়মনসিংহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় সংগৃহীত করোনা নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ফলে বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারেনি রোগী ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফলাফল দিতে অপারগতার কথা জানান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনার মতো একটি মানবিক বিষয়ের পরীক্ষা নিশ্চিত করতে শুক্রবার থেকে আলাদা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ। অবশ্য বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি।
করোনা নমুনা পরীক্ষাগারের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বৃহস্পতিবার প্রথম শ্লটে ৯৪টি নমুনা বিনষ্ট হয়েছে। এগুলো পুনরায় পরীক্ষা করতে হবে যা সময়সাপেক্ষ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া ঘন ঘন বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার ফলে কয়েক লাখ টাকার রি-এজেন্ট নষ্ট হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনা রোগী চিকিৎসার জন্য এসকে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। রোগীর চিকিৎসা ও করোনা নমুনা পরীক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এসকে ও এমএমসিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে আগে থেকে বলা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের কথা আমলে নেয়নি।
সহকারী পরিচালক বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় একবার বিদ্যুৎ চলে যায়। বারবার ফোন করার পর ২টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আবার ৩টায় বিদ্যুৎ চলে যায়, আসে ৪টায়। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সময়কে জরুরি সময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা নমুনা পরীক্ষার বিষয়টি অতীব মানবিক। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতি অমানবিক, গ্রহণযোগ্য নয়। শুক্রবার থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে নমুনা পরীক্ষা ব্যাহত না হয়। বৃহস্পতিবার প্রায় ২৫০ জনের নমুনা পাওয়া গেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকলে ল্যাব তো আর চলে না।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ বলেন, ‘দুপুরে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে সঞ্চালনা লাইনের ওপর থেকে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। আর বিকেলে বজ্রপাতের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।’
বিষয়টিকে ভুল বোঝাবুঝি উল্লেখ করে ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে তাদের আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি নেই।