ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল প্রথম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা বেগমের আদালত মামলাটি শুনানির জন্য রেখেছেন।

সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের মধ্যপাড়ার সাজন রবি দাস বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এবিএম মুছা চৌধুরী, ডা. মির্জা, মো. সাইফ, ডা. সোলাইমান মিয়া, ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. খান রিয়াজ মাহমুদ ও আবাসিক চিকিৎসক রানা নূরুস সামস।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে সাজন রবি দাসের বাড়ি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতকারীরা। এতে সাজন রবি দাস, তাঁর স্ত্রী, সন্তানসহ সাতজন আহত হয়। আহত সাজন রবি দাসের অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর ১৬ জনকে আসামি করে সরাইল থানায় মামলা করা হয়।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে ডা. এবিএম মুছা চৌধুরী, ডা. মির্জা মো. সাইফ, ডা. সোলাইমান মিয়া আহতদের আঘাত অনুযায়ী মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) দেননি। এই এমসির বিরুদ্ধে আদালতে না রাজি দিলে ৪ নভেম্বর সিভিল সার্জন ও আরএমওকে তিন দিনের ভেতরে বোর্ড বসিয়ে পুনরায় মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে নির্দেশনা দেন আদালত। নির্দেশনার পর হাসপাতালের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান, খান রিয়াজ মাহমুদ ও রানা নূরুস সামস আরও একটি মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে পাঠান। এরপর চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও সত্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। এ ব্যাপারে চিকিৎসকরা কথা বলতে রাজি হননি।