ভাগ্নিকে উক্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মামাকে কুপিয়ে হত্যা

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় স্কুলছাত্রী ভাগ্নিকে উক্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে মামা নাজমুল হককে হত্যা করেছে স্থানীয় যুবক সুমন ও তাঁর লোকজন। তাদের হামলায় আহত হয়েছেন স্কুলছাত্রীর বাবা ও ভাই। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমুল হক রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, যুবক সুমন (১৯) ওই স্কুলছাত্রীকে ছয় মাস ধরে উক্ত্যক্ত করে আসছিলেন। স্কুলছাত্রীর পরিবার থেকে বারবার নিষেধ করার পরও সুমন ওই ছাত্রীকে দিনের পর দিন উক্ত্যক্ত করেই যাচ্ছিলেন। সর্বশেষ গতকাল সোমবার বিকেলে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সুমন তার হাত ধরে টানাহেঁচড়া করেন। এ ঘটনায় আজ দুপুরে সুমনকে শাসন করেন স্কুলছাত্রীর বাবা ও ভাই।
ওই স্কুলছাত্রীর ভাই জানান, দুপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় মনিহারপুর বাজার থেকে তাঁর বাবা বাড়ি ফেরার সময় ভোলার মোড়ে তাঁকে মারপিট করে সুমন ও তাঁর লোকজন। এ খবর পেয়ে তিনি ও তাঁর মামা নাজমুল হক মোটরসাইকেলে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা সেখানে পৌঁছামাত্র সুমনের নেতৃত্বে মিন্টু, পানা, রানা, সুলতান, সম্রাট, আরিফ, কামরুল, মিঠু ও নাজমুল এসে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন। এ সময় হামলকারীরা নাজমুলের দুই হাতের কবজিতে হাসুয়া দিয়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যান।
তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার পর এলাকার লোকজন তাঁর বাবাকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এছাড়া কয়েকজন তাঁকে ও তাঁর মামাকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল হককে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুনাহার কান্তা বলেন, ‘অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে নাজমুল হককে হাসপাতালে আনার পথেই মারা যান। আহত তুষারকে চিকিৎসা দেওয়ার পর এখানে ভর্তি করা হয়েছে।’
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।