ভ্যানচালকের সততার কাছে পরাজিত ৩ লাখ টাকার লোভ

রাজশাহীর বাসিন্দা মোহাম্মদ নাহিদ। পেশায় একজন ভ্যানচালক। অভাবের সংসারে আয়ের একমাত্র হাতিয়ার ভ্যানগাড়ি। ভ্যান চালানোর সময় আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ করেই সড়কে একটি ব্যাগে মোড়ানো তিন লাখ টাকার বান্ডিল পান তিনি। ভুলে যান দারিদ্রতা। নিজের সততার কাছে তিন লাখ টাকার লোভ পরাজিত হয়। টাকার মালিক না পাওয়ায় পুরো টাকা বানেশ্বরহাটের ইজারাদার ওসমান আলীর কাছে তুলে দিয়ে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন এই ভ্যানচালক।
নাহিদ পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের চিতলপুকুর গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে।
মোহাম্মদ নাহিদ বলেন, ‘আজ শুক্রবার দুপুরে বানেশ্বর বাজারের সড়কের ওপর ব্যাগে মোড়ানো তিন লাখ টাকার বান্ডিল পাই। টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজে না পাওয়ায় পরে পুঠিয়া থানা পুলিশের উপস্থিতিতে বানেশ্বরহাটের ইজারাদার ওসমান আলীর হাতে তুলে দেই।’
নাহিদ আরো বলেন, ‘টাকাগুলো পেয়ে আমার লোভ হয়নি। বরং টাকার প্রকৃত মালিককে না পেয়ে আমার খারাপ লেগেছে। মালিককে না পেয়ে আমার কাছে টাকাগুলো রাখা নিরাপদ মনে করিনি। তাই ইজারাদারের হাতে তুলে দিয়েছি। তিনি প্রকৃত মালিককে খুঁজে পেলে টাকা ফেরত দেবেন।’
বানেশ্বরহাটের ইজারাদার ওসমান আলী বলেন, ‘ভ্যানচালক নাহিদ সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ভ্যান চালিয়ে অতি কষ্টে তাঁর সংসার চলে। টাকাগুলো কুড়িয়ে পাওয়ার সময় তাঁকে কেউ দেখেনি। তিনি ইচ্ছা করলে টাকাগুলো নিয়ে বাড়ি চলে যেতে পারতেন। তা না করে তিনি প্রকৃত মালিককে ফেরত দিতেই টাকাগুলো আমার হাতে তুলে দিয়েছেন। এখন প্রমাণ সাপেক্ষে আমি প্রকৃত মালিককে টাকাগুলো ফেরত দেব। তখন নাহিদকেও সেখানে ডেকে নেব।’