মুক্তিপণ না পেয়ে স্কুলছাত্রকে হত্যা, আটক ৩

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় অপহরণের পর দাবিকৃত ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে তানভীর আহমেদ নামের এক স্কুলছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আটক প্রতিবেশী উজ্জ্বলের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ওই স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত তানভীর আহমেদ (১৫) উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নছরতপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় আফরাজ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
আটককৃতরা হলেন উপজেলার পশ্চিম নছরতপুর গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া (২৫), নুরপুর গ্রামের শান্ত (২৬) ও বাছিরগঞ্জ বাজারের জাহিদ মিয়া (২৮)।
নিহত স্কুলছাত্রের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত রোববার রাত ৮টার দিকে তানভীরকে অপহরণ করে অভিযুক্ত তিন যুবক। এরপর তারা তানভীরের বাবার কাছে ফোনে মুক্তিপণ বাবদ ৮০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশকে জানায় নিহতের পরিবার। পুলিশ অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রোববার রাতেই জাহেদ ও শান্তকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপহরণের মাস্টার মাইন্ড উজ্জ্বলকে আজ সকালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাদের তথ্যে আসামি উজ্জ্বলের পুকুর থেকে তানভীরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সূত্র জানায়, তানভীরের বাবা ফারুক মিয়া সম্প্রতি হবিগঞ্জ জেলা শহরে নিজস্ব একটি জমি বিক্রি করেছেন প্রায় কোটি টাকায়। মূলত টাকার জন্যই শিশু তানভীরকে অপহারণ ও খুন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে বলেন, ‘স্কুলছাত্র তানভীরকে গলায় ফাঁস ও বুকে ছুরি মেরে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য পুকুরে ফেলা হয়েছিল।’
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা স্কুলছাত্র তানভীরকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য পুকুরে ফেলে দেয়। আসামিদের আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’