মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে মেট্রো রেলের দ্বিতীয় চালান

দ্বিতীয় দফায় মেট্রো রেলের ছয়টি রেলওয়ে কার (কোচ) নিয়ে জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছেড়ে আসা জাহাজ এম ভি ওশান গ্রেস মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মোংলা বন্দরে ভিড়ে জাহাজটি।
বন্দরের সাত নম্বর জেটিতে দুপুর সোয়া ২টার দিকে প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টির মধ্যে রেলওয়ের কার নামানোর কাজ শুরু হয়। জেটিতে অবস্থানরত জাহাজের পশ্চিম পাশে ভিড়ানো বার্জে নামানো হয় এসব কার। একটি বার্জে তিনটি করে কার নামানো হয়েছে।
এরপর নদীপথে দুইটি বার্জে করে এই ছয়টি রেলওয়ে কার নেওয়া হবে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ীতে। এসব কার খালাসের সময় উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মুসা, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) কমান্ডার ফখর উদ্দীন ও সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা।
এম ভি ওশান গ্রেসের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিম শিপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, রোববার ছয়টি রেলওয়ে কার মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর পরপরই খালাস কাজ শুরু হয়েছে। খালাস করে কারগুলো বার্জে রাখা হচ্ছে। এ কারের সঙ্গে আরও রয়েছে আনুষঙ্গিক মালামাল। ছয়টি কার ও এসব মালামালের ওজন প্রায় ২৬৭ মেট্রিক টন।

ওহিদুজ্জামান আরও বলেন, এর আগে গত ৩১ মার্চ মোংলা বন্দরে খালাস হয় মেট্রো রেলের প্রথম চালান। প্রথম চালানের ছয়টি কার ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ীতে পৌঁছেছে। এখন সেখানে চলছে সেগুলোর টেস্ট ট্রায়াল। চলতি বছরে কার নিয়ে আরও তিন থেকে চারটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১৩২টি কোচ আসবে। মোট কোচ আসবে ১৪৪টি। যার মধ্যে দুই দফায় এসেছে ১২টি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘মেট্রো রেলের দ্বিতীয় চালান মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে এবং খালাসও শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী ব্যবস্থা মেট্রো রেলের মালামাল মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি ও খালাস হচ্ছে। এর আগে এ বন্দর দিয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মালামাল খালাস ও পরিবহণ হয়েছে। এতেই প্রমাণ মিলে যে মোংলা বন্দর ব্যাপক সক্ষমতা অর্জন করেছে। করোনা মহামারির মধ্যেও বন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের পণ্য পরিবহণ অব্যাহত রয়েছে।’
মোহাম্মদ মুসা আরও বলেন, ‘মোংলা বন্দরের নাব্যতা সংকট দূর হয়েছে। আউটার বারে ড্রেজিং হয়েছে, এখন ইনার বারে ড্রেজিং চলছে। এর আগে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত ও জয়মনির খাদ্যগুদাম এলাকায়ও ড্রেজিং হয়েছে। বন্দরে নানামুখী উন্নয়নের কাজ চলছে।’