ময়মনসিংহ মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ১৭ জনের মৃত্যু

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ছয় জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। অপর ১১ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
মমেক হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের কনসালটেন্ট ও করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মো. মহিউদ্দিন খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীদের চাপ অনেক বেড়েছে। বর্তমানে নির্ধারিত শয্যার চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক রোগী ভর্তি রয়েছে। চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ডা. মহিউদ্দিন খান জানান, করোনা ইউনিটে মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহ সদরের শিলা সরকার (৪০), ঈশ্বরগঞ্জের আব্দুল কাইয়ুম (৬০), নেত্রকোনা সদরের বেদেনা (৬৫), হানিফা (৬৭), দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়ার শামসুন্নাহার (৬৮) ও নরসিংদীর আব্দুল মোতালেব (৬১)।
এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহ সদরের মুর্শিদা (৪০), মোসলেম উদ্দিন (৬০), হোসনে আরা (৬৫), শামসুদ্দিন (৭৫), নান্দাইলের সুলতান উদ্দিন (৬২), ধোবাউড়ার সাহের বানু (৭০), ভালুকার রওশন আরা (৩৭), তারাকান্দার জেবুন্নাহার (৫০), নেত্রকোনা সদরের আদম আলী (৭০), টাঙ্গাইল সদরের জ্যোৎস্না (৭০) ও ঘাটাইলের জোবেদ আলী (৭৫)।
ডা. মহিউদ্দিন খান আরও জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে মোট ৫৫১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছে ২২ জন।
এদিকে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর টেস্টে মোট ৪৪৮ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ২৭৪ জনের ও আরটি-পিসিআর টেস্টে ১৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ।
জেলার সর্বশেষ করোনা টেস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ময়মনসিংহ সদরের ২২৪ জন, নান্দাইলের ১০ জন, ঈশ্বরগঞ্জের পাঁচ জন, গৌরীপুরের ১৮ জন, ফুলপুরের ৩৩ জন, তারাকান্দার সাত জন, হালুয়াঘাটের ১৬ জন, ধোবাউড়ার সাত জন, মুক্তাগাছার ৫১ জন, ফুলবাড়িয়ার ১০ জন, ত্রিশালের ২০ জন, ভালুকার ৩৫ জন ও গফরগাঁওয়ের ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১৫ হাজার ৯৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৮৬৫ জন। বর্তমানে চার হাজার ১৩০ জন রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে।