রংপুরে বিএনপির সমাবেশ হবে যে মাঠে, চলছে প্রস্তুতি

আগামী শনিবার (২৯ অক্টোবর) রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। এ সমাবেশের জন্য তারা জিলা স্কুলের মাঠ চেয়ে আবেদন করলেও প্রশাসন আবেদনের ১২ দিন পর কালেক্টরেট মাঠ বরাদ্দ দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রশাসন থেকে রংপুর কালেক্টরেট মাঠে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার চেয়েও রংপুরে বেশি জনসমাগম হবে। তাদের দাবি, শনিবার রংপুর হবে জনতার শহর। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এ সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
বিএনপি জিলা স্কুল মাঠে সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বিভাগের আট জেলায় পোস্টার লাগায়। এখন আবারও নুতন মাঠের কথা উল্লেখ করে পোস্টার-ফেস্টুন বানাতে হচ্ছে—এমন তথ্য জানালেন দলটির নেতারা।
রংপুর কালেক্টরেট মাঠের অনুমতি পেয়ে গতকাল বিকেল থেকেই সেখানে চলছে মঞ্চ নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ। আজ বুধবার দুপুরে বিএনপির নেতারা মাঠ পরিদর্শনে এসে জানান, শনিবার মহাসমাবেশে রূপ নেবে রংপুর।
সমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই মাঠ বরাদ্দ নিয়ে প্রশাসন নানা নাটকীয়তা করেছে। এরপরও সমাবেশকে ঘিরে গোবিন্দগঞ্জ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত (৮ জেলা) বিএনপির যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তা ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।
দুলু বলেন, ২৮ তারিখ থেকে লোকজন রংপুরে আসা শুরু হবে, রাতে হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মী সমাবেশের মাঠেই অবস্থান নেবে।
সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তালিকা করে ফোনে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহমুদুন্নবী ডন।
কেন্দ্রীয় ঘোষণার পর থেকেই সমাবেশ সফল করতে বিভাগের আট জেলা ও মহানগরে সভা সমাবেশ এবং মিছিল মিটিং করছে বিএনপি, তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে সমাবেশ ঘিরে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেজন্য চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে রংপুর জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।