ইমিগ্রেশন বিভাগের তথ্যমতে গত ১ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২৪৩ জন পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে এলেও তাদের মধ্যে মাত্র নয়জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে পেরেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বাকি ২৩৪ জন নিজেদের তথ্য গোপন করে নিজস্ব ঠিকানায় অবস্থান করছে। তাদের শনাক্ত করতে জেলায় কর্মরত সবগুলো গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফিউল্লাহ।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে এই মাসে রাঙামাটি এসেছে এমন ২৪৩ জনের একটি তালিকা আমাদের হাতে এসেছে। তালিকাটি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। এরা সবাই রাঙামাটি এসেছে কিনা, এলে কোথায় আছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করছি আমরা। ইতোমধ্যেই তালিকা সবগুলো উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছেও পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে নামছে এদের কোয়ারেন্টিনে ফেরাতে।’

রাঙামাটির ঠিকানা ব্যবহার করা ২৪৩ জন প্রবাসী গত ১৮ দিনে এয়ারপোর্ট হয়ে দেশে প্রবেশ করলেও এদের মধ্যে মাত্র নয়জন প্রতিবেশী বা পরিবারের তথ্য অনুসারে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করায় তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। বাকিরা তথ্য গোপন করায় তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।

এত প্রচারণার পরও পুরো বিষয়টিকে প্রবাস ফেরতরা সিরিয়াসলি না নেওয়ার ঘটনায় বিস্মিত এ পুলিশ কর্মকর্তাও।

এ বিষয়ে রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেছেন, ‘এটা দুঃখজনক যে সামগ্রিক স্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে অনেকেই আত্মগোপন করে আছেন। এর ফলে তিনি নিজেই যেমন ঝুঁকিতে রয়েছেন, তেমনি তাঁর পরিবার ও সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরাও চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন। আমরা সবার প্রতি অনুরোধ করছি, বিদেশ ফেরতদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য।’