দেরিতে শুটিংয়ে আসেন সালমান, দিনের শুট করতে হয় রাতে

বলিউডে আবারও চর্চার কেন্দ্রবিন্দু সালমান খান। তবে এবার কোনো নতুন রেকর্ড বা ঝলমলে মুক্তির কারণে নয়—‘গজনি’ খ্যাত পরিচালক এ. আর. মুরুগাদোসের খোলামেলা অভিযোগে। তাঁর সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে, আর তাতেই গরম হয়ে উঠেছে সিনে দুনিয়া। ‘সিকান্দার’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় সালমানের সঙ্গে কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল সেটাই জানিয়েছেন পরিচালক।
চলচ্চিত্র সমালোচক ভরদ্বাজ রঙ্গনের সঙ্গে কথোপকথনে মুরুগাদোস জানিয়েছেন , সালমানের সঙ্গে কাজ করা ছিল একেবারেই সহজ নয়। তারকা নাকি সেটে আসতে চরম দেরি করতেন। দিনের সূর্য ডুবলেই তবে শুরু হতো শুটিং। ফলে দিনের দৃশ্যও বানাতে হয়েছে রাতের আঁধারে, আর তার পরিণতিতে ভরসা রাখতে হয়েছে গ্রীন স্ক্রিন আর ভিএফএক্সের ওপর।
পরিচালকের দাবি, সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছিল শিশুশিল্পীরা। স্কুল থেকে ফেরার দৃশ্য শুট করতে গিয়ে মাঝরাত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে ছোট্ট অভিনেতাদের। কেউ কেউ ক্লান্ত হয়ে কেঁদে ফেলত, কেউ আবার ক্যামেরা ঘুরতেই ঘুমিয়ে পড়ত। শুটিং বারবার থেমে গিয়েছে, মুরুগাদোসও নাকি অসহায় হয়ে পড়েছিলেন।
এত কিছুর মাঝেও তিনি শেষ করেছেন ‘সিকান্দার’। তবে তাঁর মতে, এই কাজটা ‘গজনি’র মতো স্বচ্ছন্দ হয়নি। রিমেক করার সুবিধা সেখানে ছিল, কিন্তু মৌলিক গল্পে নাকি সৃজনশীল ভাবনার পথে দাঁড়িয়ে গেছে সালমানের অনিয়মিত রুটিন।